ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই : তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ : বন্যার পূর্বাভাস

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • 138
অনলাইন ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। ইতোমধ্যে  তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য বলছে, আজ শনিবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই দিন সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সর্দারপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, সিংগীমারী এবং সিন্দুর্না ইউনিয়ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নবাসী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা হলে নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এতে চিনাবাদাম ও বিভিন্ন শাকসবজিসহ ফসলেরও ক্ষতি হবে। আর কাউনিয়ার চরগনাই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার ভোর থেকে পানি বাড়ছে এবং আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে আছি। ঈদের আগে যদি আমাদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়, তাহলে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ব। বড় কষ্ট হবে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, আগামী ৫ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী এবং কিছু স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ইত্যাদি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদীর কিছু পয়েন্টে স্বল্প মেয়াদে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আসহাবুল উখদুদ : যুবকের আত্মত্যাগে সত্যের সন্ধান

তিস্তার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই : তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ : বন্যার পূর্বাভাস

আপডেট সময় ০৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। ইতোমধ্যে  তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য বলছে, আজ শনিবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই দিন সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সর্দারপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, সিংগীমারী এবং সিন্দুর্না ইউনিয়ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নবাসী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা হলে নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এতে চিনাবাদাম ও বিভিন্ন শাকসবজিসহ ফসলেরও ক্ষতি হবে। আর কাউনিয়ার চরগনাই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার ভোর থেকে পানি বাড়ছে এবং আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে আছি। ঈদের আগে যদি আমাদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়, তাহলে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ব। বড় কষ্ট হবে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, আগামী ৫ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী এবং কিছু স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ইত্যাদি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদীর কিছু পয়েন্টে স্বল্প মেয়াদে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।