সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতারা রাজনীতি করছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে বিএনপি অযথাই আইনি লড়াই প্রলম্বিত করেছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত করে কিছু পায়নি। মামলা দায়ের হওয়ার পর খালেদা জিয়া কোর্টে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিলেন, যা মামলার রায় ঘোষণাকে প্রলম্বিত করেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ফখরুল সাহেবরা অনেক কথা বলেন। কিন্তু তারা খালেদা জিয়ার জন্য একটি দৃশ্যমান আন্দোলনও করতে পারেননি। লিগ্যাল ব্যাটলকে প্রলম্বিত করে তারা মামলার বিষয়টিকে এত দূর নিয়ে এসেছেন। সত্যি কথা বললে, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তারা রাজনীতি করছেন।
‘আওয়ামী লীগ সরকার উন্নত চিকিৎসায় বাধা দিয়ে খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলতে চায়’ বিএনপি নেতাদের অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া জেলের বাইরে এসে যে চিকিৎসা নিতে পারছেন, নিজের বাসায় থাকতে পারছেন এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতা ও উদারতার কারণে। তাকে কেন আমরা হত্যা করব?হত্যার রাজনীতি তো শুরু করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। তারা এ দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে। আমরা এর শিকার। আমরা কাউকে হত্যা করিনি, ষড়যন্ত্র করিনি।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এ পর্যন্ত ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এতে মোট টোল আদায় হয়েছে ১৬৪৮ কোটি টাকার কিছু বেশি। ছয় কিস্তিতে অর্থ বিভাগের ৯৪৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী ২৭শে জুন ৭ম, ও ৮ম কিস্তি বাবদ ৩১৪ কোটি টাকার চেক গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে। ৩২ হাজার ৬শ’ ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু থেকে এরই মধ্যে সুফল ভোগ করছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার প্রায় ৩ কোটি মানুষ।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) ভিত্তিক দেশের বৃহত্তম প্রকল্প জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পটি হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের দক্ষিণে কাওলা হতে শুরু হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯ শত ৪০ কোটি টাকা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩কিলোমিটার। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৭৪ দশমিক ৮১ ভাগ।