ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজস্ব সক্ষমতায় নগরবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার কলেবর বৃদ্ধি করতে হবে : মেয়র তাপস

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
  • 106

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা নিজস্ব সক্ষমতায় নগরবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এর কলেবর বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য ডিএসসিসি মেয়র জনবল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার যে বিষয়গুলো রয়েছে, তাতে আপনাদের (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের) সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে প্রয়োজনীয় জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের অনুরোধ করেছেন।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে হাজারীবাগে ‘শহীদ শামসুন্নেছা আরজু মণি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১০ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা দেখি, মৌলিক সেবাগুলো এমনকি সন্তানদের খতনা দিতে গিয়েও বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা যেন না হয় এবং জনগণ যেন মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা পায় সেজন্য আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্ব দিচ্ছি। আপনারা জানেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অত্যন্ত সুচারুভাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলেছে। আমাদের যে নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম তা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় চলমান রয়েছে, যা আগামী বছর শেষ হবে। কিন্তু প্রকল্প শেষ হলেও আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে এমন আশাবাদ  ব্যক্ত করে  মেয়র বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে কিন্তু মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহারের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি দেশের উন্নয়নের মাপকাঠি নির্ধারিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা আজ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বীকৃত। তারই ফলশ্রুতিতে বর্তমানে মা ও শিশু মৃত্যুহার অনেক কমে এসেছে। আমরা মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস অর্জন করতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী, তারই নেতৃত্বে আমরা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টও অর্জন করতে সক্ষম হবো।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান,ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ। 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নিজস্ব সক্ষমতায় নগরবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার কলেবর বৃদ্ধি করতে হবে : মেয়র তাপস

আপডেট সময় ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা নিজস্ব সক্ষমতায় নগরবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এর কলেবর বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য ডিএসসিসি মেয়র জনবল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার যে বিষয়গুলো রয়েছে, তাতে আপনাদের (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের) সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে প্রয়োজনীয় জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের অনুরোধ করেছেন।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে হাজারীবাগে ‘শহীদ শামসুন্নেছা আরজু মণি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১০ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা দেখি, মৌলিক সেবাগুলো এমনকি সন্তানদের খতনা দিতে গিয়েও বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা যেন না হয় এবং জনগণ যেন মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা পায় সেজন্য আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্ব দিচ্ছি। আপনারা জানেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অত্যন্ত সুচারুভাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলেছে। আমাদের যে নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম তা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় চলমান রয়েছে, যা আগামী বছর শেষ হবে। কিন্তু প্রকল্প শেষ হলেও আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে এমন আশাবাদ  ব্যক্ত করে  মেয়র বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে কিন্তু মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহারের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি দেশের উন্নয়নের মাপকাঠি নির্ধারিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা আজ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বীকৃত। তারই ফলশ্রুতিতে বর্তমানে মা ও শিশু মৃত্যুহার অনেক কমে এসেছে। আমরা মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস অর্জন করতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী, তারই নেতৃত্বে আমরা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টও অর্জন করতে সক্ষম হবো।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান,ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ।