অনলাইন ডেস্ক : কোরবানির ঈদের আগে ‘বংশ মর্যাদাপূর্ণ’ কোটি টাকার গরু ও ১৫ লাখ টাকার ছাগল বিক্রি করে আলোচনা আসেন সাদিক অ্যাগ্রোর কর্ণধার মো. ইমরান হোসেন। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে তাঁর অভিনব জালিয়াতি। সংবাদ সম্মেলন করে অবৈধ পথে পশু আমদানি না করতে নিষেধ করলেও তিনি নিজেই অবৈধপথে গরু আনছেন বিদেশ থেকে। এ জন্য গড়ে তুলেছেন একটি সিন্ডিকেট।
জানা গেছে, তাঁর ওই সিন্ডিকেটে সদস্য হিসেবে রয়েছেন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।তাঁর ওই সিন্ডিকেটে সদস্য হিসেবে রয়েছেন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। সাদিক অ্যাগ্রোর এসব জালিয়াতিতে অন্যতম সহযোগী হিসেবে ছিলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ। তাঁর গোপালগঞ্জের গরুর খামারটি প্রস্তুত করে দেন ইমরান। অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে আনা বেশ কিছু গরু বেনজীরের খামারেও পাঠান ইমরান। সাদিক অ্যাগ্রোতে বেনজীরের নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল।
বেনজীর আহমেদের বড় অঙ্কের আর্থিক বিনিয়োগ রয়েছে সাদিক অ্যাগ্রোতে। বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার যোগসাজশে গরু চোরাচালানের মাফিয়া হয়ে ওঠেন ইমরান। অভিযোগ রয়েছে, চোরাচালান বিষয়ে অন্য কোনো খামারের মালিক বা সংশ্লিষ্ট কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁদের বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেন ইমরান। এ জন্য অনেকে মুখ বন্ধ রেখেছেন।
জানা গেছে, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের মতো দেশ থেকে চোরাইপথে গরু আনেন ইমরান। দেশে এনে সেগুলো প্রথমে আমিনবাজার ১৬ নামের এলাকায় সাদিক অ্যাগ্রোর আরেকটি খামারে। সেখান থেকে সুযোগ বুঝে নেওয়া হয় বিভিন্ন খামারে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি ইমরান মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে ১২টি গরুর একটি চালান দেশে নিয়ে আসেন। গরুগুলো থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে সংগ্রহের পর উখিয়া হয়ে নরসিংদীর শেখ ক্যাটল ফার্মে নিয়ে যাওয়া হয়। মিয়ানমার থেকে গরুগুলো বাংলাদেশে প্রবেশের সময় সব ধরনের সহযোগিতা দেন কক্সবাজারের হলুদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস।