ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলি আর্টিজানে নিহতদের শ্রদ্ধা : র‌্যাব ডিজি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • 106

সিনিয়র রিপোর্টার

র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ, এদেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদের উত্থান হবে না। একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে র‌্যাবের। নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জঙ্গিবাদ। সাইবার স্পেসে নজরদারি অব্যাহত আছে।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পুরাতন গুলশান থানার ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে হলি আর্টিজানে নিহতদের শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, আট বছর আগে ২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। সেদিন নব্য জেএমবির পাঁচ জঙ্গি বেকারিতে ঢুকে প্রথমে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১৮ বিদেশি নাগরিকসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানের, একজন ভারতীয় এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তিনজন বাংলাদেশির মধ্যে একজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে দু’জন সিনিয়র পুলিশ সদস্য নিহত হন।

ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, পুরোরাত স্পর্শকাতর বিবেচনায় কয়েকবার প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও অভিযান চালানো থেকে বিরত থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরদিন ‘থান্ডারবোল্ট’ নামে সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের চালানো অভিযানে হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গির সবাই মারা যান। তারা হলেন- মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাজ ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

প্রসঙ্গত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দেশি-বিদেশি মোট ৩২ জন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আইনজীবী হত্যার তদন্তের নির্দেশ, দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

হলি আর্টিজানে নিহতদের শ্রদ্ধা : র‌্যাব ডিজি

আপডেট সময় ০৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ, এদেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদের উত্থান হবে না। একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সব ধরনের সক্ষমতা রয়েছে র‌্যাবের। নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জঙ্গিবাদ। সাইবার স্পেসে নজরদারি অব্যাহত আছে।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পুরাতন গুলশান থানার ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে হলি আর্টিজানে নিহতদের শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, আট বছর আগে ২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। সেদিন নব্য জেএমবির পাঁচ জঙ্গি বেকারিতে ঢুকে প্রথমে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১৮ বিদেশি নাগরিকসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানের, একজন ভারতীয় এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তিনজন বাংলাদেশির মধ্যে একজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে দু’জন সিনিয়র পুলিশ সদস্য নিহত হন।

ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, পুরোরাত স্পর্শকাতর বিবেচনায় কয়েকবার প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও অভিযান চালানো থেকে বিরত থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরদিন ‘থান্ডারবোল্ট’ নামে সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের চালানো অভিযানে হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গির সবাই মারা যান। তারা হলেন- মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাজ ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

প্রসঙ্গত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দেশি-বিদেশি মোট ৩২ জন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়।