সিনিয়র রিপোর্টার
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যা হতে পারে, পূর্বাভাস সে রকম পাওয়া যাচ্ছে। কাজেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ সময় চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশে বন্যার আশঙ্কা থাকায় সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার।
সত্যজিত কর্মকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এবার বন্যার আশঙ্কা আছে। বৃষ্টির প্রভাব পড়বে। সবাইকে বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ করে দেশের মানুষকে বন্যা থেকে রক্ষার জন্য আমাদের আগাম প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার আশপাশে অধিকাংশ কৃষি জমি চলে যাচ্ছে আবাসন প্রকল্পের জন্য। তবে যেসব জমি এখনও আছে সেগুলো যাতে ফাঁকা পড়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেসব এলাকায় তিন ফসলি বা দো ফসলি জমিতে ফসল ভাল হয় সেসব এলাকায় প্রকল্প নেওয়া যাবে না। কৃষি কাজ যেন ব্যাহত না হয় সেই উদ্যোগ নিতে হবে। তাই জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ৪১ এর বাস্তবায়ন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ সময়ে যেসব প্রকল্পের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেই টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাছাড়া সারা দেশের যেসব থানা জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে সেগুলো সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারাই যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে কীভাবে হবে?’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রকল্পের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, যেহেতু বৃষ্টির কারণে মাঠে প্রকল্পের কাজ করা যায় না সেজন্য কাগুজে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। কাজের মান নিশ্চিত করতে সবারই দায়িত্ব আছে। আগামী ৪ জুন সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। যাতে প্রকল্পের কাজ দ্রুত হয়। এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে। ২০৪১ সালের দিকে উন্নত দেশে চলে আসব আমরা। এজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. এমদাদউল্লাহ মিয়া, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।