ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবাধিকার কর্মী আদিলুর ও এলানের রায়ে এবার ফ্রান্স ও জার্মানির উদ্বেগ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 78
অনলাইন ডেস্ক : মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের কারাদণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জা জানোভস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্সে’ (সাবেক টুইটার) দুই দেশের বিবৃতিটি পোস্ট করেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অর্জনের পাশাপাশি আইনের শাসনের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল ফ্রান্স ও জার্মানি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মানবাধিকারকে ধারাবাহিক সমর্থন দিয়ে যাবে।এতে আরও বলা হয়, আদিলুর রহমান খান এবং এএসএম নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং এ বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব।
২০১৭ সালে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পক্ষে আদিলুর রহমান ‘ফ্রাঙ্কো-জার্মান প্রাইজ ফর হিউম্যান রাইস অ্যান্ড রুল অব ল’ পুরস্কার গ্রহণ করেন উল্লেখ করে বিবৃতি বলা হয়, প্রতিটি সমৃদ্ধ জাতির জন্য অত্যাবশ্যকীয় বিষয় হলো গতিশীল একটি নাগরিক সমাজ। এর আগে, হিউম্যান রাইস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মোট ৭২টি মানবাধিকার সংস্থা একই দিনে আদিলুর ও এএসএম নাসিরউদ্দিনকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এ ছাড়া আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের রায়ে অসন্তোষ ও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় দুই জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল। ২০১৩ সালের ৫-৬ মে রাজধানীর মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে পুলিশের অভিযান নিয়ে ‘বিকৃত প্রতিবেদন ও ছবি’ ছড়ানোর অভিযোগে আদিলুর রহমান ও ইলানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আদিলুর রহমান খান পেশায় সর্বোচ্চ আদালতের আপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আর পরিচালক নাসির উদ্দীন এলান অধিকারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলেন।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

মানবাধিকার কর্মী আদিলুর ও এলানের রায়ে এবার ফ্রান্স ও জার্মানির উদ্বেগ

আপডেট সময় ০৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক : মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের কারাদণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জা জানোভস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্সে’ (সাবেক টুইটার) দুই দেশের বিবৃতিটি পোস্ট করেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অর্জনের পাশাপাশি আইনের শাসনের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল ফ্রান্স ও জার্মানি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মানবাধিকারকে ধারাবাহিক সমর্থন দিয়ে যাবে।এতে আরও বলা হয়, আদিলুর রহমান খান এবং এএসএম নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং এ বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব।
২০১৭ সালে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পক্ষে আদিলুর রহমান ‘ফ্রাঙ্কো-জার্মান প্রাইজ ফর হিউম্যান রাইস অ্যান্ড রুল অব ল’ পুরস্কার গ্রহণ করেন উল্লেখ করে বিবৃতি বলা হয়, প্রতিটি সমৃদ্ধ জাতির জন্য অত্যাবশ্যকীয় বিষয় হলো গতিশীল একটি নাগরিক সমাজ। এর আগে, হিউম্যান রাইস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মোট ৭২টি মানবাধিকার সংস্থা একই দিনে আদিলুর ও এএসএম নাসিরউদ্দিনকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এ ছাড়া আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের রায়ে অসন্তোষ ও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় দুই জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল। ২০১৩ সালের ৫-৬ মে রাজধানীর মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে পুলিশের অভিযান নিয়ে ‘বিকৃত প্রতিবেদন ও ছবি’ ছড়ানোর অভিযোগে আদিলুর রহমান ও ইলানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আদিলুর রহমান খান পেশায় সর্বোচ্চ আদালতের আপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আর পরিচালক নাসির উদ্দীন এলান অধিকারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলেন।