ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত : শিক্ষামন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • 32

সিনিয়র রিপোর্টার

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, চলমান ইস্যুসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, আসলে সেগুলো নিয়ে এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করার মতো বিষয় নয়। তবে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রায় এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে দপ্তর কক্ষ ত্যাগ করেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোটাবিরোধী এ আন্দোলন কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না- তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিএনপি এ আন্দোলনকে সমর্থন করছে বলেও অভিযোগ তোলেন ওবায়দুল কাদের।

কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেটি আদালতের বিষয়। আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এটা রুটিন একটা বিষয়।’

কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুটা বিষয় নিয়ে নয়। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন, এই বসাটা নিয়মিত। এটা আমরা নিয়মিত বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।’

ধানমন্ডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দপ্তর সম্পাদকের কক্ষে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সংবাদ সম্মেলন শেষে দুপুর সোয়া ১টায় সেখানে যান সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানে  তাদের দু’জনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বৈঠকে যোগ দেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

প্রসঙ্গত, রবিবার একই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোটার প্রশ্নে যে কথা বলা হচ্ছে, মেধাবী এবং কম মেধাবী নাকি জেলাভিত্তিক সেটা তো খুবই সাবজেক্টিভ বিষয়। একটা নির্দিষ্ট মানের মেধা ধারণ না করে কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করা সম্ভব না, সেটা তো আমরা সবাই জানি। সে ক্ষেত্রে তার পরবর্তী ধাপ কীভাবে নির্ধারিত হবে, সেটা যেহেতু আদালতে পেন্ডিং আছে, সেটা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। দেশের নাগরিক হিসেবে যে কোনো ব্যক্তি রাস্তায় দাঁড়িয়ে মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য অবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেয়া আমার পক্ষে অবশ্যই সম্ভব নয়। কেননা, কোটার বিষয়টি উচ্চ আদালতে এখনও বিচারাধীন। এটি নিয়ে রায় না আসা পর্যন্ত মন্তব্য করা আমার পক্ষে আদালত অবমাননার শামিল।

ট্যাগস

বাংলাদেশে কোন সংখ্যালঘু নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশী  :  মাওঃ রফিকুল ইসলাম খাঁন

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত : শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, চলমান ইস্যুসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, আসলে সেগুলো নিয়ে এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করার মতো বিষয় নয়। তবে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রায় এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে দপ্তর কক্ষ ত্যাগ করেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোটাবিরোধী এ আন্দোলন কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না- তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিএনপি এ আন্দোলনকে সমর্থন করছে বলেও অভিযোগ তোলেন ওবায়দুল কাদের।

কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেটি আদালতের বিষয়। আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এটা রুটিন একটা বিষয়।’

কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুটা বিষয় নিয়ে নয়। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন, এই বসাটা নিয়মিত। এটা আমরা নিয়মিত বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।’

ধানমন্ডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দপ্তর সম্পাদকের কক্ষে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সংবাদ সম্মেলন শেষে দুপুর সোয়া ১টায় সেখানে যান সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানে  তাদের দু’জনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বৈঠকে যোগ দেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

প্রসঙ্গত, রবিবার একই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোটার প্রশ্নে যে কথা বলা হচ্ছে, মেধাবী এবং কম মেধাবী নাকি জেলাভিত্তিক সেটা তো খুবই সাবজেক্টিভ বিষয়। একটা নির্দিষ্ট মানের মেধা ধারণ না করে কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করা সম্ভব না, সেটা তো আমরা সবাই জানি। সে ক্ষেত্রে তার পরবর্তী ধাপ কীভাবে নির্ধারিত হবে, সেটা যেহেতু আদালতে পেন্ডিং আছে, সেটা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। দেশের নাগরিক হিসেবে যে কোনো ব্যক্তি রাস্তায় দাঁড়িয়ে মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য অবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেয়া আমার পক্ষে অবশ্যই সম্ভব নয়। কেননা, কোটার বিষয়টি উচ্চ আদালতে এখনও বিচারাধীন। এটি নিয়ে রায় না আসা পর্যন্ত মন্তব্য করা আমার পক্ষে আদালত অবমাননার শামিল।