সিনিয়র রিপোর্টার
বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মঙ্গলবার সাময়িক বরখাস্ত করেছে পিএসসি। এবার তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় পিএসসি থেকে দুদকের সচিব বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়। পিএসসির প্রশাসন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জামিলা শবনম চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির এবং পিএসসির কর্মচারী ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম।
পিএসসির প্রশাসন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ, পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র প্রকাশ এবং বিতরণ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী হিসেবে অপরাধ সংঘটনে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের ৫ (পাঁচ) জনসহ অন্যদের আসামি করে পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন কর্মচারী গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলে আছেন।
তাদের নিজ নামে, তাদের পরিবারের সদস্যের নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দখলে রয়েছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন মর্মে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এভাবে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্তপূর্বক উপযুক্ত আদালতে বিচারার্থ মামলা দায়ের করার লক্ষ্যে সাক্ষ্য প্রমাণাদি সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই সংস্থাটি এসব অভিযোগ তদন্ত করে কমিশনকে অবহিত করতে অনুরোধ করেছে।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য আসছে তাই এগুলো অধিকতর তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহের জন্য দুদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পিএসসি এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। তাদের বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি নাম গোপন করে তথ্য দিতে চায় তারাও পিএসসিতে জানতে পারবে।