ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ওই যুগের মতোই হবে : শিক্ষামন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • 109

সিনিয়র রিপোর্টার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের প্রতিবাদে ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার-রাজাকার’ যারা এমন স্লোগান দিয়েছে তাদের ‘এ যুগের রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, এদের আওয়াজে বিভ্রান্ত হলে চলবে না! এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ওই যুগের রাজাকারদের মতই হবে! ঘৃণা, ধিক্কার, আর ক্রোধ এদের প্রতি! রাজাকারের দল তোরা, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়!’

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।

সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন,  শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা করেছে, আন্দোলন করেছে। এটি অবশ্যই নাগরিক অধিকার। এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্ম পরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার! রাজাকার!’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার। এরা রাষ্ট্র মানে না, আদালত মানে না, ইতিহাস মানে না, এবং সর্বোপরি এই দেশকেই মানে না! ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই যুগের রাজাকারেরা একটু সক্রিয় বেশি। কারণ, কিছু একটা মন্তব্য লিখে, একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার ভার্চুয়াল রাজাকারি করা অনেক সহজ।

রাজাকার আগেও ছিলো এবং এর ধারাবাহিকতায় এখনো আছে উল্লেখ করে নওফেল লিখেছেন, ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রায় ২০% শতাংশ ভোট পড়েছিলো নেজামি ইসলামি, মুসলিম লীগ ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই ২০% এর অর্ধেক ১০% ধরে আজকের ১৬ কোটি মানুষের সাথে মেলালে আসবে ১.৬ কোটি। এর মধ্যে ০.৬ কোটিও যদি সারাদিন নিজের রাজাকারির অরাজকতা প্রকাশ করে, বাকি জনগোষ্ঠীর তুলনায় এরা নগন্যই থাকবে! এদের আওয়াজে বিভ্রান্ত হলে চলবে না!

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ওই যুগের মতোই হবে : শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের প্রতিবাদে ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার-রাজাকার’ যারা এমন স্লোগান দিয়েছে তাদের ‘এ যুগের রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, এদের আওয়াজে বিভ্রান্ত হলে চলবে না! এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ওই যুগের রাজাকারদের মতই হবে! ঘৃণা, ধিক্কার, আর ক্রোধ এদের প্রতি! রাজাকারের দল তোরা, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়!’

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।

সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন,  শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা করেছে, আন্দোলন করেছে। এটি অবশ্যই নাগরিক অধিকার। এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্ম পরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার! রাজাকার!’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার। এরা রাষ্ট্র মানে না, আদালত মানে না, ইতিহাস মানে না, এবং সর্বোপরি এই দেশকেই মানে না! ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই যুগের রাজাকারেরা একটু সক্রিয় বেশি। কারণ, কিছু একটা মন্তব্য লিখে, একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার ভার্চুয়াল রাজাকারি করা অনেক সহজ।

রাজাকার আগেও ছিলো এবং এর ধারাবাহিকতায় এখনো আছে উল্লেখ করে নওফেল লিখেছেন, ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রায় ২০% শতাংশ ভোট পড়েছিলো নেজামি ইসলামি, মুসলিম লীগ ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই ২০% এর অর্ধেক ১০% ধরে আজকের ১৬ কোটি মানুষের সাথে মেলালে আসবে ১.৬ কোটি। এর মধ্যে ০.৬ কোটিও যদি সারাদিন নিজের রাজাকারির অরাজকতা প্রকাশ করে, বাকি জনগোষ্ঠীর তুলনায় এরা নগন্যই থাকবে! এদের আওয়াজে বিভ্রান্ত হলে চলবে না!