ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাশকতায় জড়িতদের ছাড় নয় : ডিবি হারুন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪
  • 101

সিনিয়র রিপোর্টার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য লন্ডন থেকে তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং জামায়াত-শিবিরের একটি গ্রুপ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় আগুন, সহিংসতা, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকালে ডিবি কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তখন আমরা বলেছিলাম অনুপ্রবেশকারী ঢুকে যাচ্ছে। তারা (নাশকতাকারীরা) পুলিশের ওপর হামলা চালায়, পুলিশ সদস্য হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটাই পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়া। এজন্য তারা পুলিশ হত্যার টার্গেট করেছিল। তারা চেয়েছিল পুলিশ যাতে পিছু হটে। আমরা বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে দেখেছি, লন্ডন থেকে তারেক জিয়া বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতার নির্দেশে, জামায়াত নেতা গোলাম সরোওয়ারের নির্দেশে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ ঘটনায় তাদের কেউ হুকুম দিয়েছে, কেউ খাবার সংগ্রহ করেছে। কেউ অর্থ, গুলি, বোমা, ককটেল, গান পাউডার সরবরাহ করেছে।

এ ঘটনায় আমরা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হককে গ্রেপ্তার করেছি। বিশেষ করে তারেক জিয়ার কাছ থেকে যার কাছে সরাসরি তথ্য আসতো তিনি হলেন- বিএনপির নির্বাহী পরিষদের সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং। তার কাছ থেকে আমরা কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। সবাইকে বলা হয়েছে, কেউ যদি কাজ না করো তাহলে হাতে চুড়ি পড়ে চলে যাও। যেভাবেই হোক এই সরকারকে হটাতে হবে।

যারা মাঠ পর্যায়ে আন্দোলনে জড়িত তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে জবাবে হারুন বলেন, এই অরাজকতায় দুটি পার্ট। একটি মাঠে ছিল। আরেকটি গ্রুপ হুকুমদাতা, অর্থ, খাদ্য, রসদ সরবরাহকারী। সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ, মোবাইলের ম্যাসেজ ও ডিজিটাল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যারা নাশকতা, সহিংসতা, নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নাশকতায় জড়িতদের ছাড় নয় : ডিবি হারুন

আপডেট সময় ০৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য লন্ডন থেকে তারেক জিয়ার নির্দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং জামায়াত-শিবিরের একটি গ্রুপ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় আগুন, সহিংসতা, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকালে ডিবি কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তখন আমরা বলেছিলাম অনুপ্রবেশকারী ঢুকে যাচ্ছে। তারা (নাশকতাকারীরা) পুলিশের ওপর হামলা চালায়, পুলিশ সদস্য হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটাই পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়া। এজন্য তারা পুলিশ হত্যার টার্গেট করেছিল। তারা চেয়েছিল পুলিশ যাতে পিছু হটে। আমরা বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে দেখেছি, লন্ডন থেকে তারেক জিয়া বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতার নির্দেশে, জামায়াত নেতা গোলাম সরোওয়ারের নির্দেশে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ ঘটনায় তাদের কেউ হুকুম দিয়েছে, কেউ খাবার সংগ্রহ করেছে। কেউ অর্থ, গুলি, বোমা, ককটেল, গান পাউডার সরবরাহ করেছে।

এ ঘটনায় আমরা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হককে গ্রেপ্তার করেছি। বিশেষ করে তারেক জিয়ার কাছ থেকে যার কাছে সরাসরি তথ্য আসতো তিনি হলেন- বিএনপির নির্বাহী পরিষদের সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং। তার কাছ থেকে আমরা কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। সবাইকে বলা হয়েছে, কেউ যদি কাজ না করো তাহলে হাতে চুড়ি পড়ে চলে যাও। যেভাবেই হোক এই সরকারকে হটাতে হবে।

যারা মাঠ পর্যায়ে আন্দোলনে জড়িত তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে জবাবে হারুন বলেন, এই অরাজকতায় দুটি পার্ট। একটি মাঠে ছিল। আরেকটি গ্রুপ হুকুমদাতা, অর্থ, খাদ্য, রসদ সরবরাহকারী। সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ, মোবাইলের ম্যাসেজ ও ডিজিটাল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যারা নাশকতা, সহিংসতা, নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।