ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাঁড়াশি অভিযানে দেশজুড়ে গ্রেপ্তার ২ হাজার ৭৪৭, বেশিরভাগ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪
  • 91

সিনিয়র রিপোর্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় সাঁড়াশি অভিযান চলাচ্ছে র‌্যাব-ডিবিসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। নাশকতার স্পটের আশপাশ এলাকাসহ অলিগলি, এমনকি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে পুলিশ। সন্দেহ হলে মোবাইল ফোন যাচাই করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ড বা নাশকতায় সম্পৃক্ততার কোনো আলামত পেলেই আটক করা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরা, ভিডিও ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেও চিহ্নিত করা হচ্ছে নাশকতাকারীদের।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালানো বেশির ভাগই বাইরে থেকে এসেছিল। তারা কিছুদিন আগে এসে বিভিন্ন এলাকার বাসা ও মেসে ওঠে। পরে একটি মহলের নির্দেশনা অনুযায়ী সুযোগ বুঝে নাশকতা চালায়। সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৫৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২ হাজার ৭৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে নাশকতার ঘটনায় ঢাকায় ৩৮টি মামলায় ১ হাজার ১১৭ জনকে এবং ঢাকার বাইরে আরও ১২১টি মামলায় ১ হাজার ৬৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী। তারা হলেন- বিএনপি নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাইফুল আলম নিরব, রফিকুল আলম মজনু ও সাবেক এমপি এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত।

বিএনপির দাবি, ঢালাওভাবে দলটির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, হত্যা-নাশকতায় জড়িত ছিল না, এমন কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। সন্দেহভাজন হিসেবে আটকদের যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্টতা না পেলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, এ পর্যন্ত ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তাদের মোবাইল ফোনের মেসেজ ও অন্য তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তারেক রহমানসহ বিএনপির অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নির্দেশে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। তাদের কেউ নির্দেশ দিয়েছেন; কেউ অর্থ, খাবার, গুলি সরবরাহ করেছেন; কেউ বোমা, ককটেল, গান পাউডার দিয়েছেন।

ঢাকায় নাশকতার নেতৃত্বে থাকা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ বহু নেতা এ তালিকায় রয়েছেন। তাদের বেশির ভাগকে আমরা গ্রেফতার ও মোবাইল ফোন জব্দ করেছি। লন্ডন থেকে যে মেসেজটি এসেছিল, সেটিও পর্যালোচনা করেছি।

লন্ডন থেকে তারেক রহমানের মেসেজ সরাসরি আসত বিএনপির নির্বাহী সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) তরিকুল ইসলাম তেনজিংয়ের কাছে। তিনি বার্তাটি সবাইকে পৌঁছে দেন। তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ঘরে বসে মদ খাচ্ছেন আর মেসেজ পাঠাচ্ছেন। মিয়া গোলাম সরোওয়ারসহ জামায়াত নেতারা কীভাবে কর্মীদের টাকা দিয়েছেন, সেটিও জানা গেছে। নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তারা দেশকে অকার্যকর করার পরিকল্পনা করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা এমন নির্দেশনা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাঁড়াশি অভিযানে দেশজুড়ে গ্রেপ্তার ২ হাজার ৭৪৭, বেশিরভাগ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী

আপডেট সময় ০৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় সাঁড়াশি অভিযান চলাচ্ছে র‌্যাব-ডিবিসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। নাশকতার স্পটের আশপাশ এলাকাসহ অলিগলি, এমনকি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে পুলিশ। সন্দেহ হলে মোবাইল ফোন যাচাই করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ড বা নাশকতায় সম্পৃক্ততার কোনো আলামত পেলেই আটক করা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরা, ভিডিও ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেও চিহ্নিত করা হচ্ছে নাশকতাকারীদের।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালানো বেশির ভাগই বাইরে থেকে এসেছিল। তারা কিছুদিন আগে এসে বিভিন্ন এলাকার বাসা ও মেসে ওঠে। পরে একটি মহলের নির্দেশনা অনুযায়ী সুযোগ বুঝে নাশকতা চালায়। সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৫৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২ হাজার ৭৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে নাশকতার ঘটনায় ঢাকায় ৩৮টি মামলায় ১ হাজার ১১৭ জনকে এবং ঢাকার বাইরে আরও ১২১টি মামলায় ১ হাজার ৬৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী। তারা হলেন- বিএনপি নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাইফুল আলম নিরব, রফিকুল আলম মজনু ও সাবেক এমপি এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত।

বিএনপির দাবি, ঢালাওভাবে দলটির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, হত্যা-নাশকতায় জড়িত ছিল না, এমন কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। সন্দেহভাজন হিসেবে আটকদের যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্টতা না পেলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, এ পর্যন্ত ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তাদের মোবাইল ফোনের মেসেজ ও অন্য তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তারেক রহমানসহ বিএনপির অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নির্দেশে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। তাদের কেউ নির্দেশ দিয়েছেন; কেউ অর্থ, খাবার, গুলি সরবরাহ করেছেন; কেউ বোমা, ককটেল, গান পাউডার দিয়েছেন।

ঢাকায় নাশকতার নেতৃত্বে থাকা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ বহু নেতা এ তালিকায় রয়েছেন। তাদের বেশির ভাগকে আমরা গ্রেফতার ও মোবাইল ফোন জব্দ করেছি। লন্ডন থেকে যে মেসেজটি এসেছিল, সেটিও পর্যালোচনা করেছি।

লন্ডন থেকে তারেক রহমানের মেসেজ সরাসরি আসত বিএনপির নির্বাহী সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) তরিকুল ইসলাম তেনজিংয়ের কাছে। তিনি বার্তাটি সবাইকে পৌঁছে দেন। তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ঘরে বসে মদ খাচ্ছেন আর মেসেজ পাঠাচ্ছেন। মিয়া গোলাম সরোওয়ারসহ জামায়াত নেতারা কীভাবে কর্মীদের টাকা দিয়েছেন, সেটিও জানা গেছে। নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তারা দেশকে অকার্যকর করার পরিকল্পনা করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা এমন নির্দেশনা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।