নিজস্ব প্রতিবেদক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া বানাতে চায় তারাই এ ধরণের হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় এমন হতে দেখেছি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরের ৬ হাজার ৭শ শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল। পরে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রামে স্থানীয় কর্মহীন ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছাত্র আন্দোলন যখনই শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে যাচ্ছিল ঠিক তখনই স্বার্থান্বেষী মহল তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাড়াহুড়ো করে ঢাকার শহরে অগ্নিসন্ত্রাস, তান্ডব, বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলা, মেট্রোরেল স্টেশন পুড়িয়ে দেয়া, সেতু ভবন, ডাটা সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ও স্থাপনা পুড়িয়ে দিয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত দেশ হিসেবে তৈরি করার এ মহাপরিকল্পনায় তাদের উদ্দেশ্য ছিল সমগ্র পৃথিবীর সাথে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া। বাংলাদেশকে ভিখারি রাষ্ট্রে পরিণত করা, দেশকে উন্নতি হতে না দেয়া। দেশের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্বকে ধরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক এই সিদ্ধান্তের কারণে তাদের সেই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি প্রতিহত হয়েছে, মানুষ আশ্বস্ত হয়েছে।
কারফিউ জারির শুরুতে দেশের সার্বিক অবস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের লাইফ লাইন চট্টগ্রাম বন্দর এক মিনিটের জন্য বিচ্ছিন্ন হতে দেয় নাই। বর্তমান সংকটকে করোনা পরবর্তী মানব সৃষ্ট মহামারি বলে অভিহিত করে সাহস, দেশপ্রেম ও বন্দরের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে, এটিকে সচল রাখার জন্য বন্দরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।
মানবদরদী, দেশদরদী শেখ হাসিনা সুস্থ থাকলে বাংলাদেশ সুস্থ থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তাদের একমাত্র বাধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে তারা উৎখাত করতে চায়, যা কখনোই সম্ভব নয়।