ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেট্রোরেল কবে চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না : সাংবাদিকদের কাদের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • 23

সিনিয়র রিপোর্টার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল কবে চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যারা সহিংসতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মেট্রোরেল না থাকায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ৩০ মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায়ও যেতে পারছেন না।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর বনানীতে নাশকতায় আক্রান্ত সেতুভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যা অর্জন তা ধ্বংস করতে চায় হামলাকারীরা। হামলাকারীদের যে ফুটেজ ছিল তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। তারা পরপর দুইবার পদ্মা সেতুতে আগুন লাগাতে গিয়েছিলো। শেখ হাসিনার যা অর্জন তা ধ্বংস করতে চায় তারা। এসব ধ্বংসযজ্ঞ দেখে নেত্রী কষ্ট পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটার ওপরে আমরা পর্যায়ক্রমে যেখানে যা করার দরকার সেটা করবো। তিনি প্রত্যক্ষভাবে বিটিভিসহ বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনায় গিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নাশকতা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাজ না। বিএনপি-জামায়াত এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তাদের দীর্ঘ দিনের ব্যর্থতার জন্য এমন হামলা। তারা গণতন্ত্র মানে না। আগুন, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে তারা। কত মানুষের প্রাণের প্রদীপ নিভে গেছে। মর্মান্তিক দৃশ্যপট, সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকালে শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ফুটব্রিজে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়াসহ কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা হয়। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই একটি ট্রেন ছুটে যায়। পরে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা, এলইডি মনিটর, টিকিট কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন জায়গায়। লুট করা হয় মূল্যবান অনেক জিনিস। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয়ে কমিটি করেছেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। একইদিন পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনেও হামলা হয়। 

ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন চালু হতে কমপক্ষে এক বছর লাগতে পারে বলে জানায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সহিংসতার ঘটনায় মিরপুর ও কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর মামলা করা হবে বলেও জানায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

মেট্রোরেল কবে চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না : সাংবাদিকদের কাদের

আপডেট সময় ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল কবে চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যারা সহিংসতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মেট্রোরেল না থাকায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ৩০ মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায়ও যেতে পারছেন না।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর বনানীতে নাশকতায় আক্রান্ত সেতুভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যা অর্জন তা ধ্বংস করতে চায় হামলাকারীরা। হামলাকারীদের যে ফুটেজ ছিল তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। তারা পরপর দুইবার পদ্মা সেতুতে আগুন লাগাতে গিয়েছিলো। শেখ হাসিনার যা অর্জন তা ধ্বংস করতে চায় তারা। এসব ধ্বংসযজ্ঞ দেখে নেত্রী কষ্ট পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটার ওপরে আমরা পর্যায়ক্রমে যেখানে যা করার দরকার সেটা করবো। তিনি প্রত্যক্ষভাবে বিটিভিসহ বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনায় গিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নাশকতা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাজ না। বিএনপি-জামায়াত এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তাদের দীর্ঘ দিনের ব্যর্থতার জন্য এমন হামলা। তারা গণতন্ত্র মানে না। আগুন, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে তারা। কত মানুষের প্রাণের প্রদীপ নিভে গেছে। মর্মান্তিক দৃশ্যপট, সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকালে শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ফুটব্রিজে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়াসহ কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা হয়। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই একটি ট্রেন ছুটে যায়। পরে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা, এলইডি মনিটর, টিকিট কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন জায়গায়। লুট করা হয় মূল্যবান অনেক জিনিস। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয়ে কমিটি করেছেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। একইদিন পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনেও হামলা হয়। 

ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন চালু হতে কমপক্ষে এক বছর লাগতে পারে বলে জানায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সহিংসতার ঘটনায় মিরপুর ও কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর মামলা করা হবে বলেও জানায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ।