সিনিয়র রিপোর্টার
ডাক, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতার আগে রাজধানীতে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম ঢাকায় আসে। আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করিনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল তিনটি ডেটা সেন্টার ও শত শত কিলোমিটার তার পুড়িয়ে দেওয়ার কারণে। এজন্য শুধু টেলিকম খাতে ৫০০ কোটি টাকা এবং সব মিলিয়ে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শিগগিরই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে। রবিবার (২৮ জুলাই) সকাল ৯টায় আমরা এসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) -এর সঙ্গে বৈঠক করব। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।
গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে ‘দীক্ষা–দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা অনলাইনে’ প্রকল্পের নির্মিত কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইন্টারনেটে গতি কমিয়ে দেওয়া হবে-এমন ঘোষণা আগে ছিল কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ-পরিস্থিতির প্রয়োজনীয়তার স্বার্থে, গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজনে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার স্বার্থে আমরা প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি। যত দ্রুত পরিবেশটা নিয়ন্ত্রণে আসবে, আইনশৃঙ্খলা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, আমরা এই আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে পারব। আমরা লক্ষ করছি, কোথা থেকে কারা এই অর্থায়ন করছে, কোথা থেকে কারা এই কনটেন্ট তৈরি করছে, তার জন্য আমরা ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল ইন্টেলিজেন্স ব্যবস্থা জোরদার করছি। আমরা আশা করছি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নয়ন আমরা ঘটাতে পারব। এ সময় ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটার কারণে সাময়িক যে ক্ষতি ও অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, সেটা মেনে নিয়ে সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানান তিনি।