ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৪ দলের বৈঠকে হারুনের কঠোর সমালোচনা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪
  • 104

অনলাইন ডেস্ক  : কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে খাওয়ানোর পর সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বিষয়টিকে ‘জাতির সঙ্গে মশকরা’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

রোববার রাতে ডিবি কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে খাবার খাইয়ে সেই ছবি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।’

তার এই কর্মকাণ্ডে কঠোর সমালোচনা করেছেন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ১৪ দলের নেতারা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে খাবার গ্রহণের ছবি ডিবির হারুনের ফেসবুক পেজে পোস্ট করার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে রাশেদ খান মেনন ছাড়াও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিসহ একাধিক নেতা কথা বলেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

ডিবির হারুন প্রসঙ্গে ১৪ দলের বৈঠকে হওয়া আলোচনার ব্যাপারে হাসানুল হক ইনু বলেন, বৈঠকে আমি ও রাশেদ খান মেননসহ অনেকেই কথা বলেছেন। মূলত কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়। এটা সমাধানের দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। রাজনীতিবিদরা সংলাপের মাধ্যমে এর সমাধান করবেন, সেটাই বাঞ্ছনীয়।  এর বাইরে আমলা দিয়ে রাজনৈতিক বিষয় সমাধানের চেষ্টা করাটা সঠিক নয়। বৈঠকে আমরা সরকারকে বলেছি, আমলা দিয়ে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করার চেষ্টাটা বাদ দিতে। এটা খুবই লজ্জাজনক।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম দিকে তিনজন মন্ত্রী সরকারের তরফে কথা বলেন, সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাই ভালো ছিল। মাঝখানে আমলা দিয়ে এর সমাধান করতে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বিরোধে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টিও ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না বলে উল্লেখ করেন জাসদ সভাপতি।

বৈঠকে সব রাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার পরামর্শ দেন রাশেদ খান মেনন। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের ডিবি অফিসে নেওয়া এবং তাদের খাবার খাওয়ানোর ভিডিও প্রকাশে আদালতের একটি পর্যালোচনা তুলে ধরেন। 

বৈঠকে এক নেতা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি কি আজকে দেখছেন, হাইকোর্ট এ রকম দুঃসময়ে একটা মন্তব্য করেছেন, যা দেশ-বিদেশে খারাপ প্রভাব পড়েছে। এটা সরকারের বিরুদ্ধে গেছে। তিনি আরও বলেন, সমন্বয়কদের ধরলই বা কেন? আবার ধরে ওদের খাওয়ায়ে মিডিয়ার প্রচার জাতির সঙ্গে মশকরা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

১৪ দলের বৈঠকে হারুনের কঠোর সমালোচনা

আপডেট সময় ০৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  : কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে খাওয়ানোর পর সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বিষয়টিকে ‘জাতির সঙ্গে মশকরা’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

রোববার রাতে ডিবি কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে খাবার খাইয়ে সেই ছবি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।’

তার এই কর্মকাণ্ডে কঠোর সমালোচনা করেছেন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ১৪ দলের নেতারা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে খাবার গ্রহণের ছবি ডিবির হারুনের ফেসবুক পেজে পোস্ট করার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে রাশেদ খান মেনন ছাড়াও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিসহ একাধিক নেতা কথা বলেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

ডিবির হারুন প্রসঙ্গে ১৪ দলের বৈঠকে হওয়া আলোচনার ব্যাপারে হাসানুল হক ইনু বলেন, বৈঠকে আমি ও রাশেদ খান মেননসহ অনেকেই কথা বলেছেন। মূলত কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়। এটা সমাধানের দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। রাজনীতিবিদরা সংলাপের মাধ্যমে এর সমাধান করবেন, সেটাই বাঞ্ছনীয়।  এর বাইরে আমলা দিয়ে রাজনৈতিক বিষয় সমাধানের চেষ্টা করাটা সঠিক নয়। বৈঠকে আমরা সরকারকে বলেছি, আমলা দিয়ে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করার চেষ্টাটা বাদ দিতে। এটা খুবই লজ্জাজনক।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম দিকে তিনজন মন্ত্রী সরকারের তরফে কথা বলেন, সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাই ভালো ছিল। মাঝখানে আমলা দিয়ে এর সমাধান করতে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বিরোধে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টিও ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না বলে উল্লেখ করেন জাসদ সভাপতি।

বৈঠকে সব রাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার পরামর্শ দেন রাশেদ খান মেনন। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের ডিবি অফিসে নেওয়া এবং তাদের খাবার খাওয়ানোর ভিডিও প্রকাশে আদালতের একটি পর্যালোচনা তুলে ধরেন। 

বৈঠকে এক নেতা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি কি আজকে দেখছেন, হাইকোর্ট এ রকম দুঃসময়ে একটা মন্তব্য করেছেন, যা দেশ-বিদেশে খারাপ প্রভাব পড়েছে। এটা সরকারের বিরুদ্ধে গেছে। তিনি আরও বলেন, সমন্বয়কদের ধরলই বা কেন? আবার ধরে ওদের খাওয়ায়ে মিডিয়ার প্রচার জাতির সঙ্গে মশকরা।