অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বা ‘শ্যুট অন সাইটের নির্দেশ’ দেওয়া ও আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক- প্রধান জোসেপ বোরেল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
ইইউর পররাষ্ট্র বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে জোসেপ বোরেল বলেছেন, আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে সেখানে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় কর্তৃপক্ষের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ ও আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটন নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, সহিংসতা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার ও সম্পদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়েও আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অবশ্যই এসব কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশে বিক্ষোভকারী, সাংবাদিক, ছোট শিশুসহ অন্য ব্যক্তিদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বহু ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর পূর্ণ জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে বলেও উল্লেখ তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হাজারো মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা যেন যথাযথ আইনি সুবিধা পান, তাও নিশ্চিত করতে হবে। এই সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেগুলোর ওপর তারা গভীরভাবে নজর রাখবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলনীতিগুলো বিবেচনায় রেখে তারা আশা করছেন, বাংলাদেশে সব ধরনের মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো হবে।