ঢাকা , রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃহস্পতিবার থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলবে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • 52

সিনিয়র রিপোর্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার জেরে দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। তবে শুরুতে কারফিউ শিথিল থাকার সময় স্বল্প দূরত্বের লোকাল, মেইল, কমিউটার ট্রেন চলবে। পরবর্তীতে চালু হবে আন্তঃনগর ট্রেন। এদিকে রেল সেবা বন্ধ থাকায় প্রতিদিনই দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর রেলভবনে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়। রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে রেলপথ সচিব, রেলওয়ে মহাপরিচালকসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হলে, গত ১৮ জুলাই বন্ধ করা হয় ট্রেন চলাচল। জ্বালানি তেলবাহী কিছু রেলগাড়ি চললেও ওই দিনের পর আর যাত্রীবাহী ট্রেন চলেনি। গত ২৫ জুলাই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও সেই রাতে মত বদল করে রেল মন্ত্রণালয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেকার আলম রাজন বলেন, আপাতত স্বল্প দূরত্বে কিছু ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এসব ট্রেন চলাচল করবে। দিনের বেলা যখন কারফিউ শিথিল থাকবে, তখন চলবে ট্রেন। আন্তঃনগর ট্রেন চালুর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী ও ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। তাতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরের দিন ট্রেন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সেদিন ঢাকার মহাখালীতে রেললাইনে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করা হয়। রেলপথের টঙ্গী-ভৈরব অংশের নরসিংদীতে রেললাইন তুলে ফেলা হয়। ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ওই দিন দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের সব যাত্রা বাতিল ঘোষণা করা হয়।

রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে রেল চলাচল শুরু হবে। শুরুতে শুধু মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলবে। এরপর আস্তে আস্তে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে। গত ২৪ জুলাই রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর জানিয়েছিলেন, কারফিউ শিথিলের সময় স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন ২৫ জুলাই থেকে চলাচল করবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করার কথা জানায় রেলওয়ে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের কমিউটার ট্রেনগুলো বেশি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ট্রেনগুলো তিন থেকে চারবার ট্রিপ করবে। এর মধ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে কমিউটার ট্রেন স্বাভাবিক সময়ে ২০ বারের বেশি যাতায়াত করলেও বৃহস্পতিবার চার-পাঁচবার আসা-যাওয়া করতে পারে।

রেলের পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) কয়েকটি রুটের মধ্যে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রাজবাড়ী পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। রাজশাহী থেকে রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের পথেও লোকাল ট্রেন চলানো হতে পারে। চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারি পথেও ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে।

এছাড়া দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। বৃহস্পতিবার থেকে একবার আসা-যাওয়া করতে পারবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, তেলবাহী ট্রেন গত মঙ্গলবার থেকেই চলাচল করছে। মালবাহী কিছু ট্রেন গত বৃহস্পতিবার চলাচল করেছে। ভারত থেকে পাথরবাহী দুটি ট্রেনও চলাচল করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি সরবরাহের তেলবাহী ট্রেনও চলছে। ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও এখনো স্বাভাবিক নয়। এ কারণে অনলাইনে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি বিঘ্নিত হতে পারে। ১৮ জুলাইয়ের পর যাত্রা বাতিল হওয়া ট্রেনের, আগাম টিকিট কেনা যাত্রীরা টাকা ফেরত পাবেন।  

রেলপথমন্ত্রী জিল্লুর হাকিম বলেন, ১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চলবে। এক্ষেত্রে কারফিউ শিথিল থাকাকালীন ট্রেনগুলো চলাচল করবে। স্বল্প পরিসরে শুধু কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চলবে। তবে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সম্প্রতি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, রেলওয়েতে সেবার মান বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীসংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরাও দুর্ভোগে আছেন। তারা কষ্ট করে চলাচল করছেন। অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েরও প্রায় সোয়া কোটি টাকা আয় কমেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রতিদিন ৪০০টির মতো যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালি এক্সপ্রেসও রয়েছে। ট্রেনে প্রতিদিন যাত্রী চলাচল করে প্রায় আড়াই লাখ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বৃহস্পতিবার থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলবে

আপডেট সময় ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার জেরে দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। তবে শুরুতে কারফিউ শিথিল থাকার সময় স্বল্প দূরত্বের লোকাল, মেইল, কমিউটার ট্রেন চলবে। পরবর্তীতে চালু হবে আন্তঃনগর ট্রেন। এদিকে রেল সেবা বন্ধ থাকায় প্রতিদিনই দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর রেলভবনে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়। রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে রেলপথ সচিব, রেলওয়ে মহাপরিচালকসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হলে, গত ১৮ জুলাই বন্ধ করা হয় ট্রেন চলাচল। জ্বালানি তেলবাহী কিছু রেলগাড়ি চললেও ওই দিনের পর আর যাত্রীবাহী ট্রেন চলেনি। গত ২৫ জুলাই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও সেই রাতে মত বদল করে রেল মন্ত্রণালয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেকার আলম রাজন বলেন, আপাতত স্বল্প দূরত্বে কিছু ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এসব ট্রেন চলাচল করবে। দিনের বেলা যখন কারফিউ শিথিল থাকবে, তখন চলবে ট্রেন। আন্তঃনগর ট্রেন চালুর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী ও ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। তাতে কয়েক ঘণ্টার জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরের দিন ট্রেন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সেদিন ঢাকার মহাখালীতে রেললাইনে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করা হয়। রেলপথের টঙ্গী-ভৈরব অংশের নরসিংদীতে রেললাইন তুলে ফেলা হয়। ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ওই দিন দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের সব যাত্রা বাতিল ঘোষণা করা হয়।

রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে রেল চলাচল শুরু হবে। শুরুতে শুধু মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলবে। এরপর আস্তে আস্তে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে। গত ২৪ জুলাই রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর জানিয়েছিলেন, কারফিউ শিথিলের সময় স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন ২৫ জুলাই থেকে চলাচল করবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করার কথা জানায় রেলওয়ে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের কমিউটার ট্রেনগুলো বেশি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ট্রেনগুলো তিন থেকে চারবার ট্রিপ করবে। এর মধ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে কমিউটার ট্রেন স্বাভাবিক সময়ে ২০ বারের বেশি যাতায়াত করলেও বৃহস্পতিবার চার-পাঁচবার আসা-যাওয়া করতে পারে।

রেলের পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) কয়েকটি রুটের মধ্যে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রাজবাড়ী পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। রাজশাহী থেকে রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের পথেও লোকাল ট্রেন চলানো হতে পারে। চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারি পথেও ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে।

এছাড়া দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। বৃহস্পতিবার থেকে একবার আসা-যাওয়া করতে পারবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, তেলবাহী ট্রেন গত মঙ্গলবার থেকেই চলাচল করছে। মালবাহী কিছু ট্রেন গত বৃহস্পতিবার চলাচল করেছে। ভারত থেকে পাথরবাহী দুটি ট্রেনও চলাচল করছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি সরবরাহের তেলবাহী ট্রেনও চলছে। ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও এখনো স্বাভাবিক নয়। এ কারণে অনলাইনে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি বিঘ্নিত হতে পারে। ১৮ জুলাইয়ের পর যাত্রা বাতিল হওয়া ট্রেনের, আগাম টিকিট কেনা যাত্রীরা টাকা ফেরত পাবেন।  

রেলপথমন্ত্রী জিল্লুর হাকিম বলেন, ১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চলবে। এক্ষেত্রে কারফিউ শিথিল থাকাকালীন ট্রেনগুলো চলাচল করবে। স্বল্প পরিসরে শুধু কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চলবে। তবে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সম্প্রতি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, রেলওয়েতে সেবার মান বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীসংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরাও দুর্ভোগে আছেন। তারা কষ্ট করে চলাচল করছেন। অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েরও প্রায় সোয়া কোটি টাকা আয় কমেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রতিদিন ৪০০টির মতো যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালি এক্সপ্রেসও রয়েছে। ট্রেনে প্রতিদিন যাত্রী চলাচল করে প্রায় আড়াই লাখ।