সিনিয়র রিপোর্টার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করল সরকার।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাংগীর আলম এতে স্বাক্ষর করেন।
আজ সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, কিছুক্ষণের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গত পরশু ১৪ দলের একটি সভা হয়েছিল, সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। এটার একটা আইনি প্রক্রিয়া আছে, সেটা আমরা গত পরশু শুরু করেছিলাম। এর মধ্যে এই নিষিদ্ধের যে গেজেট প্রকাশ করা হবে, সেটারও কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সেই আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করে আমার মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে পাঠিয়েছে। এরপর সেটিকে ভেটিং করে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি, আমার মনে হয়ে, কিছুক্ষণের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই গেজেট প্রকাশ করে দেবে।’
প্রসঙ্গত, আদালতের রায়ে নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। জামায়াতের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায়ও কার্যকর করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। কিন্তু কয়েক বছর আগে সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করা হলেও পরে সে বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি।