বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমি সংঘাত চাই না। দেশের চলমান পরিস্থিতি শান্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। তাদের জন্য গণভবনের দরজা খোলা।
শনিবার (৩ জুলাই) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে, দীর্ঘদিন ধরে এ ইস্যুতে আন্দোলন করে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর অংশ হিসেবে দেশের সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছিল কর্মবিরতি। এরমধ্যে বৈঠক হয় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে। তবে তাতে কোনো সমাধান আসেনি। শনিবার নতুন এ ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত জুনের মাঝামাঝি সময়ে সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর প্রতিবাদে আন্দোলনের ঘোষণা দেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের দাবি ছিল-সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিল করা। এর সঙ্গে যোগ করা হয় ২০১৪ সালে আশ্বাস দেওয়া শিক্ষকদের জন্য বিশেষ গ্রেড (সুপার গ্রেড-সিনিয়র সচিব সমমান) নিশ্চিত করা। জুনের মধ্যে দাবি না মানলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান তারা। সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয় তাদের আন্দোলনের ফলে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর অংশ হিসেবে আজ দুপুর ১২ টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর প্রগতি সরণি, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা গেট, আফতাবনগর, পল্টন ও প্রেসক্লাব, আজিমপুর, কাঁটাবনসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সদস্যদের সর্তক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। বিপরীতে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তায়, আফতাবনগরে ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে, সাইন্স ল্যাবে, রামপুরা, বনশ্রী, মিরপুর ১০ অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী সমর্থিত নীল দলের শিক্ষকরা।