নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে যুবলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ২৬ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর সোয়া একটার দিকে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে, এদিন দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনায় উপজেলা সহকারী কমিশনারের (এসি ল্যান্ড) গাড়িতে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাঁদের ৯ দফা দাবিতে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফৌজদারি হয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি রেসকোর্স এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা ধাওয়া দেন। এ সময় অন্তত ৩০টি গুলি করা হয়। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ এবং ২০ জন আহত হন। এই সময় গুলিবিদ্ধ পাঁচ শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।
এই প্রসঙ্গে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হাসপাতালে পাঁচজনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাঁদের চিকিৎসা দিচ্ছি। তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জান্নাতুল ইভা বলেন, ‘আমাদের অনেকে আহত হয়েছে শুনেছি। আমরা হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।’
চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৌম্য সরকার জানান, ‘ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনায় আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম। এ সময় ইউএনও এবং আমি গাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ করে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা আমার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে আমরা গাড়ি থেকে বের হয়ে যাই।’