সিনিয়র রিপোর্টার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। আপাতত তিনি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে চাননি, (দেশ ছাড়ার বিষয়ে) তারাই তাকে জোরাজুরি করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং সোমবার (৫ আগস্ট) দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। হাসিনার সাবেক প্রধান উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, তিনি (হাসিনা) মোটেও দেশ ছাড়তে চাননি, কিন্তু পরিবারের পীড়াপীড়িতে শেষপর্যন্ত তিনি তা করেছিলেন।
টেলিফোনে এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) থাকতে চেয়েছিলেন, তিনি মোটেও দেশ ছেড়ে যেতে চাননি। কিন্তু আমরা জোর দিয়ে বলেছিলাম, দেশে থাকা তার জন্য নিরাপদ নয়। আমরা প্রথমে তার শারীরিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বিগ্ন ছিলাম; তাই তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে রাজি করি।
তিনি বলেন, ‘আমি সোমবার সকালে তার (হাসিনা) সঙ্গে কথা বলেছি। আপনি দেখতে পাচ্ছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অরাজক। তিনি ভালো আছেন কিন্তু তিনি খুবই হতাশ। এটি তার জন্য খুবই হতাশাজনক কারণ বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা তার স্বপ্ন ছিল এবং তিনি ১৫ বছর ধরে এটির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন, দেশকে তিনি জঙ্গি এবং সন্ত্রাসবাদ থেকে সুরক্ষিত রেখেছিলেন।’
এনডিটিভি বলছে, পদত্যাগের পর ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা সোমবার একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে তার বোনের সঙ্গে ভারতে আশ্রয় নেন। তিনি ভারত থেকে পরে লন্ডনে চলে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন।
তবে হাসিনার ছেলে জয় বলেছেন, তিনি এখন ভারত থেকে কোথায় যাবেন সেটি নিয়ে তার (হাসিনা) সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি।
জয় বলেন, আমরা আশা করি বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। কিন্তু এই সময়ে আমাদের দলের নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করা হলে আমি জানি না কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে। এটি এখন আর তাদের পরিবারের দায়িত্ব নয়। আমরা কী দেখিয়েছি। আমরা দেখিয়েছি, আমরা বাংলাদেশের কতটা উন্নয়ন করতে পারি এবং বাংলাদেশের জনগণ যদি দাঁড়াতে না চায় এবং তারা এই সহিংস সংখ্যালঘুদের ক্ষমতা দখল করতে দিতে রাজি হয়, তাহলে জনগণ তাদের প্রাপ্য নেতৃত্ব পাবে।