ঢাকা , শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
  • 41

সিনিয়র রিপোর্টার

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র এ কথা জানিয়েছে।

প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির  পদত্যাগ দাবিতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর দেড়টার দিকে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেলা দুইটার দিকে আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছেড়ে চলে যান।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাচ্ছেন হাইকোর্ট বিভাগের সাত বিচারপতি। সম্ভাব্য এই তালিকায় রয়েছেন- বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, বিচারপতি একে এম আসাদুজ্জামান, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল কবির, বিচারপতি শেখ আব্দুল আওয়াল ও বিচারপতি মামনুন রহমান।

দুপুরে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সন্ধ্যার মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবো।

এর আগে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবির বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল আজ দুপুরে সচিবালয়ে বলেন, ‘গণ-আন্দোলন থেকে পদত্যাগের দাবি উঠলে সেটিকে কতটুকু সম্মান প্রদর্শন করতে হয়, সেটি প্রধান বিচারপতি বুঝতে পারবেন বলে প্রত্যাশা থাকবে।’ পরে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ করার নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে, ফুল কোর্ট সভা ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সোয়া ১০টার ফুল কোর্ট সভা বন্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ফুল কোর্ট সভা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার ফেসবুক পেজে সকালে স্ট্যাটাস দেন। তিনি বিনাশর্তে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে ও ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করার দাবি জানান স্ট্যাটাসে। কোটা সংস্কার নিয়ে গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, হাইকোর্টের দেওয়া রায় নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানিতে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘এত আন্দোলন কীসের রাস্তায় শুরু হয়েছে? আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন

আপডেট সময় ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র এ কথা জানিয়েছে।

প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির  পদত্যাগ দাবিতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর দেড়টার দিকে জানা যায়, প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেলা দুইটার দিকে আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছেড়ে চলে যান।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাচ্ছেন হাইকোর্ট বিভাগের সাত বিচারপতি। সম্ভাব্য এই তালিকায় রয়েছেন- বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, বিচারপতি একে এম আসাদুজ্জামান, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল কবির, বিচারপতি শেখ আব্দুল আওয়াল ও বিচারপতি মামনুন রহমান।

দুপুরে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সন্ধ্যার মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবো।

এর আগে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবির বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল আজ দুপুরে সচিবালয়ে বলেন, ‘গণ-আন্দোলন থেকে পদত্যাগের দাবি উঠলে সেটিকে কতটুকু সম্মান প্রদর্শন করতে হয়, সেটি প্রধান বিচারপতি বুঝতে পারবেন বলে প্রত্যাশা থাকবে।’ পরে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ করার নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে, ফুল কোর্ট সভা ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সোয়া ১০টার ফুল কোর্ট সভা বন্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ফুল কোর্ট সভা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার ফেসবুক পেজে সকালে স্ট্যাটাস দেন। তিনি বিনাশর্তে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে ও ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করার দাবি জানান স্ট্যাটাসে। কোটা সংস্কার নিয়ে গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, হাইকোর্টের দেওয়া রায় নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানিতে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘এত আন্দোলন কীসের রাস্তায় শুরু হয়েছে? আন্দোলনের চাপ দিয়ে কি হাইকোর্টের রায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?’