ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিতের আহ্বান সম্পাদক পরিষদের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • 89

সিনিয়র রিপোর্টার

সাম্প্রতিক গণ-আন্দোলনে আহত ও নিহত সাংবাদিকসহ ছাত্র, শিক্ষক, যুবক, সাধারণ নাগরিক ও পুলিশ সদস্য যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। সেই সঙ্গে আন্দোলন ঘিরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলাসহ অতীতের সকল হয়রানিমূলক মামলা বাতিল ও প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। গত ১০ আগস্ট সম্পাদক পরিষদের এক সভায় সাম্প্রতিক বিষয়ে আলোচনাসহ এ আহ্বান জানানো হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো সম্পাদক পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত সকল মামলাও প্রত্যাহার ও বাতিল করতে হবে। গণ-আন্দোলনের সময় সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল অফিস আক্রান্ত হয়েছে, সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনাকে সম্পাদক পরিষদ সমর্থন করে না।

একই সঙ্গে পেশাদারিত্ব বাদ দিয়ে নীতিবিবর্জিত ও লেজুরবৃত্তির সাংবাদিকতা বর্জনীয় বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ। বিগত সরকার বাকস্বাধীনতা, সৃজনশীলতা এবং স্বাধীন সংবাদপত্র শিল্পের কণ্ঠরোধ করতে ও নিয়ন্ত্রিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিল। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি নিবর্তনমূলক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছিল।

এসব আইনের মধ্যে রয়েছে- উপাত্ত সুরক্ষা আইন (খসড়া) ২০২২, ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি রেগুলেশন ২০২১ (খসড়া), গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন ২০২২ (খসড়া), জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭, দ্য প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট, ২০২২ (খসড়া)। প্রস্তাবিত এ বিশেষ আইনগুলো অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অতীতের মতো সংবাদপত্রে সরকারি ও বেসরকারি বিজ্ঞাপন প্রদানের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপের প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। সরকারি সংস্থা ডিএফপির সকল কার্যক্রম স্বচ্ছ ও প্রকাশ্য হতে হবে।

এ সময় প্রেস কাউন্সিলকে পুনর্গঠন করে কার্যকর সংস্থায় পরিণত করতে হবে উল্লেখ করে সর্বোপরি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।

ডেইলি স্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপত্বি করেন- ডেইলি স্টার সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউএজ সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নুরুল কবীর, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, বণিক বার্তা সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক জাফর সোবহান, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, সমকাল সম্পাদক আলমগীর হোসেন, দেশ রূপান্তর সম্পাদক মোস্তফা মামুন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, এবং সংবাদ নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম।

যোগাযোগ প্লাটফর্ম জুমে সভায় অংশ নেন- দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ড. এম রমিজউদ্দিন চৌধুরী এবং সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা

স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিতের আহ্বান সম্পাদক পরিষদের

আপডেট সময় ০৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

সাম্প্রতিক গণ-আন্দোলনে আহত ও নিহত সাংবাদিকসহ ছাত্র, শিক্ষক, যুবক, সাধারণ নাগরিক ও পুলিশ সদস্য যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। সেই সঙ্গে আন্দোলন ঘিরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলাসহ অতীতের সকল হয়রানিমূলক মামলা বাতিল ও প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। গত ১০ আগস্ট সম্পাদক পরিষদের এক সভায় সাম্প্রতিক বিষয়ে আলোচনাসহ এ আহ্বান জানানো হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো সম্পাদক পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত সকল মামলাও প্রত্যাহার ও বাতিল করতে হবে। গণ-আন্দোলনের সময় সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল অফিস আক্রান্ত হয়েছে, সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনাকে সম্পাদক পরিষদ সমর্থন করে না।

একই সঙ্গে পেশাদারিত্ব বাদ দিয়ে নীতিবিবর্জিত ও লেজুরবৃত্তির সাংবাদিকতা বর্জনীয় বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ। বিগত সরকার বাকস্বাধীনতা, সৃজনশীলতা এবং স্বাধীন সংবাদপত্র শিল্পের কণ্ঠরোধ করতে ও নিয়ন্ত্রিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিল। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি নিবর্তনমূলক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছিল।

এসব আইনের মধ্যে রয়েছে- উপাত্ত সুরক্ষা আইন (খসড়া) ২০২২, ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি রেগুলেশন ২০২১ (খসড়া), গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন ২০২২ (খসড়া), জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭, দ্য প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট, ২০২২ (খসড়া)। প্রস্তাবিত এ বিশেষ আইনগুলো অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অতীতের মতো সংবাদপত্রে সরকারি ও বেসরকারি বিজ্ঞাপন প্রদানের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপের প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। সরকারি সংস্থা ডিএফপির সকল কার্যক্রম স্বচ্ছ ও প্রকাশ্য হতে হবে।

এ সময় প্রেস কাউন্সিলকে পুনর্গঠন করে কার্যকর সংস্থায় পরিণত করতে হবে উল্লেখ করে সর্বোপরি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।

ডেইলি স্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপত্বি করেন- ডেইলি স্টার সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউএজ সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নুরুল কবীর, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, বণিক বার্তা সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক জাফর সোবহান, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, সমকাল সম্পাদক আলমগীর হোসেন, দেশ রূপান্তর সম্পাদক মোস্তফা মামুন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, এবং সংবাদ নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম।

যোগাযোগ প্লাটফর্ম জুমে সভায় অংশ নেন- দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ড. এম রমিজউদ্দিন চৌধুরী এবং সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ।