ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : মজনু

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
  • 34
ইসলাম সবুজ : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু ঢাকাবাসীকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ ১নং গেইট থেকে শুরু করে সমগ্র গুলিস্তান জুড়ে বেশ কয়েকটি অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যকালে রফিকুল আলম মজনু এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘‘দেশকে গণতন্ত্র উত্তরণের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগর অত্যন্ত স্পর্শকাতর অবস্থায় রয়েছে।  তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। ধর্ম-বর্ণ পরিচয়ের কারণে কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে সবার আগে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের এই নৈরাজ্যের কাছে আমরা হার মানতে পারি না।” রফিকুল আলম মজনু মুসলমান, বৌদ্ধ, হিন্দু, খৃষ্টান নির্বিশেষে বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্ধু ও পাড়া প্রতিবেশীদের রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের ভূখন্ডে বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষের একটিই পরিচয় সেটি হচ্ছে, আমরা বাংলাদেশি।” পুলিশ জনগণের শত্রু নয় মন্তব্য করে তার অভিযোগ, ‘‘একটি সভ্য এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পুলিশ অপরিহার্য। অত্যাচারি হাসিনা বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। ”আমি বিশ্বাস করি, আমার দল বিশ্বাস করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যেকে বিশ্বাস করে পুলিশের ভেতরে একটি চক্র ছাড়া অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্য চাকুরিবিধি মেনে, দেশের আইন কানুন মেনেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছে। হাসিনা পালানোর পরে বর্তমানে সুকৌশলে একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পুলিশকে অকার্যকর করে দেওয়া গেলে দেশকে অস্থিতিশীল করা সহজ। ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মনে নিরাপত্তাহীন সৃষ্টি করা সহজ।”
মজনু বলেন গণমাধ্যমগুলো এখনও তাদের দালালীর চরিত্র বদলায়নি। শুধুমাত্র রং বদলে ফ্যাসীবাদীর সহযোগী হিসেবে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের কৌশলী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি প্রতিদিন অসংখ্য কর্মসূচি পালন করছে। জনগণের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে। বর্তমান এই সংকটময় মূহুর্তে মানুষের আতঙ্ক কাটিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেভাবে কাজ করছি এসব কর্মসূচি প্রচারের মাধ্যমে সারাদেশের জনগণকে আশ্বস্ত করার বড় সুযোগ ছিল গণমাধ্যমসমূহের। দুভার্গ্যবশতঃ গণমাধ্যমগুলো কৌশলে তা এরিয়ে বরং অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিতে ভিন্ন কৌশলে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সহযোগীতা করছে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই চরিত্র বদলান, মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান নতুবা সময়মত সবকিছুর জবাব একদিন দিতেই  হবে জনগনকে। এ সময় আরও তিনি যেই অনৈতিক সুবিধা চাইবে তার রাজনৈতিক পরিচয়সহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দপ্তরে কিংবা সরাসরি তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতেও জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোলায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবদলের ঢাকা মহানগরের আহবায়ক খন্দকার এনামুল হক, যুবদলের সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্তসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগস

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে : মজনু

আপডেট সময় ০৭:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
ইসলাম সবুজ : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু ঢাকাবাসীকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ ১নং গেইট থেকে শুরু করে সমগ্র গুলিস্তান জুড়ে বেশ কয়েকটি অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যকালে রফিকুল আলম মজনু এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘‘দেশকে গণতন্ত্র উত্তরণের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগর অত্যন্ত স্পর্শকাতর অবস্থায় রয়েছে।  তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। ধর্ম-বর্ণ পরিচয়ের কারণে কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে সবার আগে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্রকারীদের এই নৈরাজ্যের কাছে আমরা হার মানতে পারি না।” রফিকুল আলম মজনু মুসলমান, বৌদ্ধ, হিন্দু, খৃষ্টান নির্বিশেষে বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্ধু ও পাড়া প্রতিবেশীদের রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের ভূখন্ডে বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষের একটিই পরিচয় সেটি হচ্ছে, আমরা বাংলাদেশি।” পুলিশ জনগণের শত্রু নয় মন্তব্য করে তার অভিযোগ, ‘‘একটি সভ্য এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পুলিশ অপরিহার্য। অত্যাচারি হাসিনা বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। ”আমি বিশ্বাস করি, আমার দল বিশ্বাস করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যেকে বিশ্বাস করে পুলিশের ভেতরে একটি চক্র ছাড়া অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্য চাকুরিবিধি মেনে, দেশের আইন কানুন মেনেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছে। হাসিনা পালানোর পরে বর্তমানে সুকৌশলে একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পুলিশকে অকার্যকর করে দেওয়া গেলে দেশকে অস্থিতিশীল করা সহজ। ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মনে নিরাপত্তাহীন সৃষ্টি করা সহজ।”
মজনু বলেন গণমাধ্যমগুলো এখনও তাদের দালালীর চরিত্র বদলায়নি। শুধুমাত্র রং বদলে ফ্যাসীবাদীর সহযোগী হিসেবে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের কৌশলী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি প্রতিদিন অসংখ্য কর্মসূচি পালন করছে। জনগণের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে। বর্তমান এই সংকটময় মূহুর্তে মানুষের আতঙ্ক কাটিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেভাবে কাজ করছি এসব কর্মসূচি প্রচারের মাধ্যমে সারাদেশের জনগণকে আশ্বস্ত করার বড় সুযোগ ছিল গণমাধ্যমসমূহের। দুভার্গ্যবশতঃ গণমাধ্যমগুলো কৌশলে তা এরিয়ে বরং অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিতে ভিন্ন কৌশলে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সহযোগীতা করছে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই চরিত্র বদলান, মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান নতুবা সময়মত সবকিছুর জবাব একদিন দিতেই  হবে জনগনকে। এ সময় আরও তিনি যেই অনৈতিক সুবিধা চাইবে তার রাজনৈতিক পরিচয়সহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দপ্তরে কিংবা সরাসরি তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতেও জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোলায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবদলের ঢাকা মহানগরের আহবায়ক খন্দকার এনামুল হক, যুবদলের সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্তসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।