ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরস্কের সংসদে দুই দলের হাতাহাতি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
  • 18
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তুরস্কের জাতীয় সংসদে তুমুল মারামারি হয়েছে। এক কারাবন্দি নেতাকে নিয়ে বিতর্কের জেরে সংসদে হাতাহাতিতে জড়ান সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে।

মারামারির ভিডিওতে দেখা গেছে, বিরোধী দলের ডেপুটি আহমেদ সিক কারাবন্দি এক নেতার পক্ষে কথা বলছিলেন। একই সঙ্গে ওই নেতাকে কারাগারে নেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করছিলেন। তবে বিষয়টি সহজে নিতে পারেননি ক্ষমতাসীন দল একেপি পার্টির সদস্যরা। ডায়াসে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেওয়ার সময়ই ওই নেতাকে মারতে উদ্যত হন তারা।

এ পর্যায়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরাও ছুটে আসলে দুই দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে তুমুল মারামারি বেধে যায়। এ সময় বেশ কয়েকজন রক্তাক্তও হয়েছেন। যেই রক্ত পড়ে সংসদ সদস্যদেরকেই মুছতে দেখা গেছে।

যাকে নিয়ে সংসদে এই তুলকালাম, সেই নেতার নাম আতালে। যিনি ২০২২ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য ১৮ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তার সঙ্গে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে জড়িতদেরকেও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। অবশ্য পরে, কারাগারে থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তুরস্কের ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে জয় লাভ করেন তিনি। এরপর পার্লামেন্ট তার সদস্যপদ বাতিল করলেও আদালত তার সদস্যপদ বহাল রাখেন।

এদিন সিক একেপি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনার আতালেকে সন্ত্রাসী বললে আমরা আশ্চর্য হই না। কারণ আপনাদের পাশে না থাকলে প্রত্যেককেই এ কথা বলেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হলেন তারা যারা এখানে বসে আছেন। এরপর মূলত দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়।

সংঘর্ষের পর সংসদের ডেপুটি স্পিকার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় বিরতির পর অধিবেশন পুনরায় আহ্বান করা হয়। তখন ডেপুটির বদলে সংসদের স্পিকার সভাপতিত্ব করেন। একটি ভোটে সংসদ একেপির বিরুদ্ধে বক্তব্যের জন্য টিআইপির সিককে তিরস্কার করে এবং সিকের ওপর শারীরিক আক্রমণের জন্য একেপির আলপে ওজালানকেও তিরস্কার করে।

প্রধান বিরোধী দল সিএইচপির নেতা বলেন, এটা লজ্জাজনক। সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল সাংবাদিকদের বলেন, আইনপ্রণেতারা অন্য আইনপ্রণেতাদের, এমনকি নারীদেরও ঘুষি মেরেছেন। এটি অগ্রহণযোগ্য। কুর্দিপন্থী দল ডিইএম পার্টির চেয়ারম্যান গুলিস্তান কোসিগিটও ঘুষি খেয়েছেন। তিনি বলেন, শাসক দল সহিংসতা করে বিরোধীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

ট্যাগস

খুলনা থানায় ঝুলিয়ে নির্যাতনের এক যুগ পর সাবেক ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

তুরস্কের সংসদে দুই দলের হাতাহাতি

আপডেট সময় ০৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তুরস্কের জাতীয় সংসদে তুমুল মারামারি হয়েছে। এক কারাবন্দি নেতাকে নিয়ে বিতর্কের জেরে সংসদে হাতাহাতিতে জড়ান সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে।

মারামারির ভিডিওতে দেখা গেছে, বিরোধী দলের ডেপুটি আহমেদ সিক কারাবন্দি এক নেতার পক্ষে কথা বলছিলেন। একই সঙ্গে ওই নেতাকে কারাগারে নেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করছিলেন। তবে বিষয়টি সহজে নিতে পারেননি ক্ষমতাসীন দল একেপি পার্টির সদস্যরা। ডায়াসে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেওয়ার সময়ই ওই নেতাকে মারতে উদ্যত হন তারা।

এ পর্যায়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরাও ছুটে আসলে দুই দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে তুমুল মারামারি বেধে যায়। এ সময় বেশ কয়েকজন রক্তাক্তও হয়েছেন। যেই রক্ত পড়ে সংসদ সদস্যদেরকেই মুছতে দেখা গেছে।

যাকে নিয়ে সংসদে এই তুলকালাম, সেই নেতার নাম আতালে। যিনি ২০২২ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য ১৮ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তার সঙ্গে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে জড়িতদেরকেও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। অবশ্য পরে, কারাগারে থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তুরস্কের ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে জয় লাভ করেন তিনি। এরপর পার্লামেন্ট তার সদস্যপদ বাতিল করলেও আদালত তার সদস্যপদ বহাল রাখেন।

এদিন সিক একেপি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনার আতালেকে সন্ত্রাসী বললে আমরা আশ্চর্য হই না। কারণ আপনাদের পাশে না থাকলে প্রত্যেককেই এ কথা বলেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হলেন তারা যারা এখানে বসে আছেন। এরপর মূলত দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়।

সংঘর্ষের পর সংসদের ডেপুটি স্পিকার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় বিরতির পর অধিবেশন পুনরায় আহ্বান করা হয়। তখন ডেপুটির বদলে সংসদের স্পিকার সভাপতিত্ব করেন। একটি ভোটে সংসদ একেপির বিরুদ্ধে বক্তব্যের জন্য টিআইপির সিককে তিরস্কার করে এবং সিকের ওপর শারীরিক আক্রমণের জন্য একেপির আলপে ওজালানকেও তিরস্কার করে।

প্রধান বিরোধী দল সিএইচপির নেতা বলেন, এটা লজ্জাজনক। সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল সাংবাদিকদের বলেন, আইনপ্রণেতারা অন্য আইনপ্রণেতাদের, এমনকি নারীদেরও ঘুষি মেরেছেন। এটি অগ্রহণযোগ্য। কুর্দিপন্থী দল ডিইএম পার্টির চেয়ারম্যান গুলিস্তান কোসিগিটও ঘুষি খেয়েছেন। তিনি বলেন, শাসক দল সহিংসতা করে বিরোধীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।