ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড় ঋণখেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে : সালেহউদ্দিন আহমেদ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • 57

সিনিয়র রিপোর্টার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন। এর আগে বাংলাদেশ সরকারের নানা প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে রবিবার (১৮ আগস্ট) গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। 

তিনি বলেন, এতদিন অনেক রকমের অনিয়ম হয়েছে। উন্নয়নের নামে অনিয়ম হয়েছে, প্রশাসনেও হয়েছে। আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে এই অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার চেষ্টা করা। বিভিন্ন কারণে অর্থনীতির চাকা বেশ মন্থর হয়ে গেছে। এর পেছনে কিছু বৈশ্বিক কারণ আছে, আবার কিছু অভ্যন্তরীণ কারণ আছে।

আমি মনে করি, বেশিরভাগহ কারণ অভ্যন্তরীণ। তা না হলে তো সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকত। করোনা হয়েছিল, এরপর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নানান টানাপোড়ন ছিল। আমাদের যে অর্থনৈতিক সমস্যা আছে, তার মধ্যে মূল্যস্ফীতি একটি বিরাট সমস্যা। ব্যাংকিং খাতের সমস্যা ও সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, রাজস্ব আয়ের ব্যাপারে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড় কোনো সংস্কারে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অবশ্যই করব। যেমন আর্থক খাত সংস্কার, ব্যাংক খাত সংস্কার। সংস্কার নিয়ে আমরা দাতাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। সুতরাং সংস্কার আমরা করব। কিছু সংস্কার জরুরিভিত্তিকে দরকার, সেটা আমরা করব। আর কিছু আছে দীর্ঘমেয়দী সংস্কার। যেমন ব্যাংকিং কমিশন। আমরা এগুলো করব, হয়তো সব শেষ করতে পারব না। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে দাতারা জানতে চেয়েছে এগুলোর কী হবে। যেগুলো চালু আছে সেগুলো চলবে। তবে কিছু বড় প্রকল্প যা এখনো চালু হয়নি তা আমরা একনেকে পাঠাব।

দেশের অর্থপাচার বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থপাচার নিয়ে একটা কমিটি আছে। আমরা ইতোমধ্যে সেই কমিটির বৈঠক করেছি। আড়াই বছর পর এই বৈঠক হয়েছে। অথচ বৈঠক তিন মাস পর পর হওয়ার কথা। আমি আসার সাত দিনের মধ্যে বৈঠক করলাম। এর আগে, অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২২ সালে এই বৈঠক করেছিল। আমি এজন্য অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছি, আপনারা আড়াই বছর পরে কেন বসেছেন?

তিনি আরো বলেন, যারা অর্থপাচার করেছে তাদের তালিকা আছে। জরুরিভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিদে হবে। সম্প্রতি কয়েকটি তালিকা হয়েছে। আমি বলেছি, সাম্প্রতিক না, পুরনো যেগুলো আছে দ্রুত সেগুলোর তালিকা করবেন। তদন্ত সংস্থাগুলোকেও বলা হয়েছে, জরুরি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে। চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বড় ঋণখেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে : সালেহউদ্দিন আহমেদ

আপডেট সময় ০৫:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন। এর আগে বাংলাদেশ সরকারের নানা প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে রবিবার (১৮ আগস্ট) গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। 

তিনি বলেন, এতদিন অনেক রকমের অনিয়ম হয়েছে। উন্নয়নের নামে অনিয়ম হয়েছে, প্রশাসনেও হয়েছে। আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে এই অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার চেষ্টা করা। বিভিন্ন কারণে অর্থনীতির চাকা বেশ মন্থর হয়ে গেছে। এর পেছনে কিছু বৈশ্বিক কারণ আছে, আবার কিছু অভ্যন্তরীণ কারণ আছে।

আমি মনে করি, বেশিরভাগহ কারণ অভ্যন্তরীণ। তা না হলে তো সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকত। করোনা হয়েছিল, এরপর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নানান টানাপোড়ন ছিল। আমাদের যে অর্থনৈতিক সমস্যা আছে, তার মধ্যে মূল্যস্ফীতি একটি বিরাট সমস্যা। ব্যাংকিং খাতের সমস্যা ও সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, রাজস্ব আয়ের ব্যাপারে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড় কোনো সংস্কারে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অবশ্যই করব। যেমন আর্থক খাত সংস্কার, ব্যাংক খাত সংস্কার। সংস্কার নিয়ে আমরা দাতাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। সুতরাং সংস্কার আমরা করব। কিছু সংস্কার জরুরিভিত্তিকে দরকার, সেটা আমরা করব। আর কিছু আছে দীর্ঘমেয়দী সংস্কার। যেমন ব্যাংকিং কমিশন। আমরা এগুলো করব, হয়তো সব শেষ করতে পারব না। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে দাতারা জানতে চেয়েছে এগুলোর কী হবে। যেগুলো চালু আছে সেগুলো চলবে। তবে কিছু বড় প্রকল্প যা এখনো চালু হয়নি তা আমরা একনেকে পাঠাব।

দেশের অর্থপাচার বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থপাচার নিয়ে একটা কমিটি আছে। আমরা ইতোমধ্যে সেই কমিটির বৈঠক করেছি। আড়াই বছর পর এই বৈঠক হয়েছে। অথচ বৈঠক তিন মাস পর পর হওয়ার কথা। আমি আসার সাত দিনের মধ্যে বৈঠক করলাম। এর আগে, অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২২ সালে এই বৈঠক করেছিল। আমি এজন্য অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছি, আপনারা আড়াই বছর পরে কেন বসেছেন?

তিনি আরো বলেন, যারা অর্থপাচার করেছে তাদের তালিকা আছে। জরুরিভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিদে হবে। সম্প্রতি কয়েকটি তালিকা হয়েছে। আমি বলেছি, সাম্প্রতিক না, পুরনো যেগুলো আছে দ্রুত সেগুলোর তালিকা করবেন। তদন্ত সংস্থাগুলোকেও বলা হয়েছে, জরুরি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে। চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।