সিনিয়র রিপোর্টার

উজানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যায় দেশের ১২ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ।

শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ভারী বর্ষণ কমেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

চলমান বন্যা পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য জানাতে দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডাকে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। এ সময় সচিবের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা, দুর্যোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বন্যাপিড়ীত মানুষদের সরেজমিন চিকিৎসা–সেবাসহ অন্য সেবা তদারক করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম এখন ফেনীতে অবস্থান করছেন বলে জানান সচিব।

সংবাদ সম্মেলনে কামরুল হাসান বলেন, চলমান বন্যায় চট্টগ্রামে পাঁচ, কুমিল্লায় চার, নোয়াখালীতে তিন, কক্সবাজারে তিন, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীতে একজন করে মারা গেছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় নগদ তিন কোটি ৫২ লাখ, শিশুখাদ্য বাবদ ৩৫ লাখ, গোখাদ্য বাবদ ৩৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া ত্রাণকাজের অংশ হিসেবে ২০ হাজার ১৫০ টন চাল ও ১৫ হাজার শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে।

সচিব আরো বলেন, বন্যাকবলিত ১১ জেলার ৭৭ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৮৭টি। ১১ জেলায় এখন পানিবন্দী আছেন নয় লাখ ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন।

ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা দিতে ৭৭০টি মেডিক্যাল টিম করা হয়েছে বলে জানান সচিব। ফেনীতে স্বাস্থ্যসেবা দিতে ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি ভি–স্যাট চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সঙ্গে পানিবাহিত রোগবালাই বাড়ে, এদিককার প্রস্তুতি জানতে চাইলে সচিব বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বন্যাপরবর্তী পানিবাহিত রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে প্রস্তুতি রয়েছে। আশপাশের জেলা থেকে যথেষ্ট বোট আনা হয়েছে। গোমতী, হালদা, মুহরী নদীর পানির পরিস্থিতির আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উন্নতি হবে বলেও জানান সচিব।