ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থানায় হামলা-আগুন, মামলায় আসামি ৪০ হাজার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • 226

অনলাইন ডেস্ক

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে একটি মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় হামলা চালায়। সেদিন অস্ত্র লুট ও ভাঙচুর করে থানা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামাসহ ৪০ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকালে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট হামলাকারীরা থানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে থানার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও মামলার স্পর্শকাতর আলামত আগুনে পুড়ে গেছে। এছাড়া বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করা হয়। হামলায় প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সনের পেনাল কোড আইনের বিবিধ ধারায়, বিস্ফোরক আইনের ১৯০৮ এর ৩/৬ ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সনের ১৫(৩)/২৫-ডি ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের ১৬ তারিখ থেকে চলতি ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে। যা পরবর্তীতে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় শেখ হাসিনার সরকার। আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শিশু-নারীসহ ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। 

প্রাথমিক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বলছে- আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ৩২ শিশুসহ ৬৫০ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর ও বিশ্বাসযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কথা বলা হয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আবাসন শিল্পের আধুনিকায়নে বাংলা সিটি পিএলসি স্যাটেলাইট সিটি ভবিষৎ প্রজন্মের এক অনন্য ঠিকানা : সাবেক সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান

থানায় হামলা-আগুন, মামলায় আসামি ৪০ হাজার

আপডেট সময় ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে একটি মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় হামলা চালায়। সেদিন অস্ত্র লুট ও ভাঙচুর করে থানা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামাসহ ৪০ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকালে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট হামলাকারীরা থানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে থানার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও মামলার স্পর্শকাতর আলামত আগুনে পুড়ে গেছে। এছাড়া বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করা হয়। হামলায় প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সনের পেনাল কোড আইনের বিবিধ ধারায়, বিস্ফোরক আইনের ১৯০৮ এর ৩/৬ ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সনের ১৫(৩)/২৫-ডি ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের ১৬ তারিখ থেকে চলতি ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে। যা পরবর্তীতে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় শেখ হাসিনার সরকার। আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শিশু-নারীসহ ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। 

প্রাথমিক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বলছে- আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ৩২ শিশুসহ ৬৫০ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর ও বিশ্বাসযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কথা বলা হয়।