সিনিয়র রিপোর্টার
দেশে বন্যার্তদের জন্য রবিবার (২৫ আগস্ট) চতুর্থ দিনের মতো গণত্রাণ সংগ্রহ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগে তিন দিনে সংগ্রহ করা নগদ টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৪৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৯০ টাকা। পাশাপাশি ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও অর্থ সহায়তা এসেছে প্রচুর পরিমাণে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) বদলে আজ ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে। তবে কেউ নগদ অর্থ সহায়তা ও জরুরি ওষুধ দিতে চাইলে তা দেওয়া যাবে টিএসসির ফটকে বসানো বুথে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র, ডাকসু, সিনেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিদিনই ৩০টিরও বেশি ট্রাকভর্তি ত্রাণ বন্যার্ত বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে টিএসসি ছেড়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুতের জন্যে দেড় হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ২৪ ঘণ্টাই কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সমন্বয়করা। তারা বলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি উদ্ধারকাজে অংশ নিতে বন্যাপীড়িত এলাকায় চলে গেছেন। কেউ টিএসসিতে, কেউ সিনেটে আবার কেউবা ডাকসুতে কাজ করছেন। অনেকে রাস্তায় ত্রাণ দিতে আসা গাড়িগুলো যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে জন্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন।
দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যা শুরু হওয়ার পর গত বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণত্রাণ সংগ্রহের এই উদ্যোগের ঘোষণা দেন৷ আন্দোলনের সব সমন্বয়ক ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিজ নিজ জেলা-উপজেলায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও জনসাধারণের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বেচ্ছাসেবী দল গঠনের আহ্বান জানান বাকের। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল সবার সঙ্গে সমন্বয় করে বন্যাকবলিত মানুষের জন্য দুর্গতদের জন্য রেসকিউ অপারেশন ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।