সিনিয়র রিপোর্টার
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করার দাবিতে কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ৮০ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়াও অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন, চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিতকরণের দাবি জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।
দাবি পূরণ না হলে, স্টেশন ত্যাগ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটির কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সারাদেশে ৮০ ভাগ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। তবে তারা আরইবির দ্বৈতশাসন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য এবং বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তারা দীর্ঘদিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত মে ও জুলাই মাসে তারা টানা কর্মবিরতি পালন করেছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যস্থতায় এবং আরইবি ও সমিতির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কয়েকটি সমঝোতা সভা অনুষ্ঠিত হলেও, সমিতির কর্মকর্তাদের দাবি এখনও পূরণ হয়নি। গত ১ আগস্ট বিদ্যুৎ বিভাগ একটি ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করলেও আরইবি সেই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
সম্প্রতি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ২ জন জিএম এবং ৪ জন ডিজিএমকে শাস্তি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। যা আন্দোলনরত কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এর প্রতিবাদে তারা আরইবির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের আন্দোলন কোনো আর্থিক দাবির জন্য নয়, বরং বিদ্যুৎ খাতে দ্বৈতনীতি থেকে মুক্তি এবং একটি টেকসই, আধুনিক ও গ্রাহকবান্ধব বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে এই আন্দোলন। তারা আশা করছে তাদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে।
যদি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে স্টেশন ত্যাগ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটি বা প্রয়োজনে গণপদত্যাগ কর্মসূচি ঘোষণা করবে। এর ফলে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।