ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৫৯, ফেনীতেই ২৩

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
  • 107

সিনিয়র রিপোর্টার

দেশের ১১টি জেলায় ভয়াবহ বন্যার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ জনে। এরমধ্যে ফেনীতেই ২৩ জন। শুক্রবার তা ছিল ৫৪ জন। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের বলা হয়, বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি (ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার)। মৃত ৫৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, নারী ছয় জন ও শিশু ১২ জন। এরমধ্যে কুমিল্লায় রয়েছেন ১৪, ফেনীতে ২৩, চট্টগ্রামে ছয়, খাগড়াছড়িতে এক, নোয়াখালীতে এক, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় এক, লক্ষ্মীপুরে এক, কক্সবাজারে তিন জন এবং মৌলভীবাজারে এক জন। নিখোঁজ রয়েছেন এক জন (মৌলভীবাজার)।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।

এছাড়া ৬৮টি উপজেলা বন্যাপ্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ও পৌরসভা ৫০৪টি। বর্তমানে মোট ছয় লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।

পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট তিন হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট তিন লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন লোক এবং ৩৬ হাজার ১৩৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য মোট ৫১৯টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে।

ট্যাগস

বন্যায় প্রাণহানি বেড়ে ৫৯, ফেনীতেই ২৩

আপডেট সময় ০৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

দেশের ১১টি জেলায় ভয়াবহ বন্যার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ জনে। এরমধ্যে ফেনীতেই ২৩ জন। শুক্রবার তা ছিল ৫৪ জন। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের বলা হয়, বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি (ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার)। মৃত ৫৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, নারী ছয় জন ও শিশু ১২ জন। এরমধ্যে কুমিল্লায় রয়েছেন ১৪, ফেনীতে ২৩, চট্টগ্রামে ছয়, খাগড়াছড়িতে এক, নোয়াখালীতে এক, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় এক, লক্ষ্মীপুরে এক, কক্সবাজারে তিন জন এবং মৌলভীবাজারে এক জন। নিখোঁজ রয়েছেন এক জন (মৌলভীবাজার)।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।

এছাড়া ৬৮টি উপজেলা বন্যাপ্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ও পৌরসভা ৫০৪টি। বর্তমানে মোট ছয় লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।

পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট তিন হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট তিন লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন লোক এবং ৩৬ হাজার ১৩৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য মোট ৫১৯টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে।