সিনিয়র রিপোর্টার
রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. এনামুল হক, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের পুত্র তমাল মুনসুরের বিরুদ্ধেনানাবিদ অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈদ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় নিজ কার্যালয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী মো. এনামুল হকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও ঘুষের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
পাশপাশি সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও বেআইনী কার্যকলাপের মাধ্যমে আরিচা নৌ-টার্মিনালের নিকটবর্তী বিআইডব্লিউটিএ এর জমিসহ বিভিন্ন জায়গার জমি এবং নামে-বেনামে বিপুল পরিমান সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম পুত্র তমাল মুনসুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে ১৭৫ কোটি টাকা সরকারী অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমান অর্থ পাচার করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, এখন পর্যন্ত দুদক যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে তার প্রায় সবগুলো অভিযোগের ধরন একই। অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিদেশে অর্থ পাচার এগুলো একই ধরনের অভিযোগ। সবগুলো অভিযোগ প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের জন্য কার্যক্রম চলছে। এজন্য বিভিন্ন টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সাবেক মন্ত্রী, এমপি যাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে তারা তো দুদকে আসছেন না। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত কি হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, অনুসন্ধান করার পর্যায়টি সম্পূর্নভাবে অনুসন্ধান যিনি করছেন তার উপরে বর্তায়। তিনি কিভাবে কার্যক্রম চালাবেন সেই স্বাধীনতা তাকে দেয়া আছে। কিভাবে শুনানি নেবেন, কিভাবে তার থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন এটি তার উপরে বর্তায়।