সিনিয়র রিপোর্টার
বর্ষাকাল চলে গেলেও মৌসুমী বায়ুর প্রভাব যেন কাটছেই না। এখন মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। ভাদ্র মাসের সকালে তুমুল বৃষ্টিতে ঘুম ভেঙেছে রাজধানীর মানুষের। সেই বৃষ্টি ডুবিয়েছে পথ-ঘাট। ভোগান্তি বাড়িয়েছে নগরবাসীর।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছেন তারা। ঝুম বৃষ্টিতে ঢাকার বহু সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে, পানি জমেছে অলিগলিতেও।
সকালে ঢাকার মিরপুর, কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া, পল্লবী, বনানী, জিগাতলা, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পথে নেমে বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ওমর ফারুক বলেন, এখন আর ঢাকায় বৃষ্টি হবে না, পরে হয়তো হতে পারে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দিকে এখন বেশি বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়ার অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কুমিল্লায় দেশের সর্বোচ্চ ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে। এ ছাড়া বান্দরবানে ২৫, বরিশালে ২৩, চট্টগ্রামে ২১ এবং চট্টগ্রামের আমবাগানে ২১ মিলিমিটারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত।
গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। ২০ আগস্ট থেকে প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্তত ১১টি জেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়। এতে অর্ধকোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও ক্ষতচিহ্ন রয়ে গেছে উপদ্রুত এলাকায়।