ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধী গ্রেপ্তারে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 14

সিনিয়র রিপোর্টার

গত ৫ আগস্ট সরকারের পালাবদলের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে। মধ্যবর্তী সময়টিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের অস্ত্র লুট করা হয়। এরও আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নরসিংদীসহ একাধিক কারাগার থেকে অস্ত্র লুট হয়।

এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ছিল এসব অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার সর্বশেষ সময়। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর দেশে নতুন করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।  

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে দেওয়া সব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে এসব অস্ত্র থানায় জমা দিতে বলা হয়েছিল। মঙ্গলবার শেষ হয়েছে এসব অস্ত্র জমা দেওয়ার সময়সীমাও।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে জানিয়েছেন, যৌথবাহিনীর অপারেশন বুধবার রাত ১২টা থেকে শুরু হবে।

উপদেষ্টা বলেন, মঙ্গলবারের সভাটি ছিল আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা। এ সভায় প্রধানত দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কথা হয়েছে। কীভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করা যায়, সেসব নিয়ে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা কিছু কিছু পদক্ষেপও নেব।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মঙ্গলবার সব বৈধ এবং অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। বুধবার রাত ১২টা থেকে আমাদের যৌথবাহিনীর অপারেশন শুরু হবে হাতিয়ার কালেকশনের জন্য। আমরা যেন অবৈধ অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করতে পারি; আমি এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাইছি। তিনি আরো বলেন, মাদক আমাদের বড় সমস্যা। এই মাদক আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য খুবই জরুরি। এ কারণে এটি নিয়ে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। মাদকের গডফাদারদের আমরা আইনের আওতায় আনার জন্যও কাজ করছি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। পূজা যেন ঠিকভাবে হতে পারে, সে বিষয় আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা আশা করছি, পূজাটা খুব ভালোভাবে শেষ হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সীমান্ত নিয়ে যে সমস্যা সেটি নিতে আলোচনা হয়েছে। আমরা কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছি, সেটি অনগ্রাউন্ড দেখতে পাবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেশে এখন বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা কমবেশি ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হাতে। তাদের বেশির ভাগই আবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। বিভিন্ন থানায় বৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের হালনাগাদ হওয়া তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিগত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বেসামরিক জনগণকে প্রদান করা হয়েছে, তাদের প্রদানকৃত লাইসেন্স স্থগিত করা হলো।’ আরো বলা হয়, এ নির্দেশনার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তিনি ‘দ্য আর্মস অ্যাক্ট ১৮৭৮’ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পরে গত ২৭ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার সময়ও বেঁধে দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া এবং পাবলিক রিলেশন বিভাগের এআইজি এনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, সারাদেশের থানাগুলো থেকে কত অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে, তা মঙ্গলবারের পর জানানো হবে।

তিনি জানান, ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের তিন হাজার ৮৮০টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গোলাবারুদের মধ্যে দুই লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ রাউন্ড গুলি, ২২ হাজার ২০১টি টিয়ার গ্যাসের সেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া লুণ্ঠিত দুই হাজার ১৩৯টি সাউন্ড গ্রেনেডও উদ্ধার হয়েছে। জানা যায়, শুধু রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে এক হাজার ৮৯৮টি অস্ত্র লুট করা হয়। এর মধ্যে গত ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ৪৫৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি এক হাজার ৪৪৫টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি।

জানা যায়, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের যৌথ সমন্বয়ে অপারেশন টিম গঠন করে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মহানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন পুলিশ কমিশনার। সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় কমিশনার এ অভিযান পরিচালনা করবেন।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোর কমিটির মাধ্যমে স্থগিত করা লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনার ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হবে। এই কমিটিতে পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণ বা হেফাজতকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি জেলা তথ্য অফিস প্রচার করবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি এনামুল হক সাগর বলেন, প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে মঙ্গলবারের পরে কিন্তু সেগুলো অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে এবং অস্ত্র আইনে কিন্তু মামলা রুজু হবে।

তিনি বলেন, আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কোনো কিছু যেন কখনো সংগঠিত না হয় সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আর অস্ত্র, গোলাবারুদ যেগুলো এখনো মিসিং রয়েছে সেগুলোতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি, করবো।

ট্যাগস

খুলনা থানায় ঝুলিয়ে নির্যাতনের এক যুগ পর সাবেক ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধী গ্রেপ্তারে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু

আপডেট সময় ০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

গত ৫ আগস্ট সরকারের পালাবদলের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে। মধ্যবর্তী সময়টিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের অস্ত্র লুট করা হয়। এরও আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নরসিংদীসহ একাধিক কারাগার থেকে অস্ত্র লুট হয়।

এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ছিল এসব অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার সর্বশেষ সময়। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর দেশে নতুন করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।  

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে দেওয়া সব অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে এসব অস্ত্র থানায় জমা দিতে বলা হয়েছিল। মঙ্গলবার শেষ হয়েছে এসব অস্ত্র জমা দেওয়ার সময়সীমাও।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে জানিয়েছেন, যৌথবাহিনীর অপারেশন বুধবার রাত ১২টা থেকে শুরু হবে।

উপদেষ্টা বলেন, মঙ্গলবারের সভাটি ছিল আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা। এ সভায় প্রধানত দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কথা হয়েছে। কীভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করা যায়, সেসব নিয়ে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা কিছু কিছু পদক্ষেপও নেব।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মঙ্গলবার সব বৈধ এবং অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। বুধবার রাত ১২টা থেকে আমাদের যৌথবাহিনীর অপারেশন শুরু হবে হাতিয়ার কালেকশনের জন্য। আমরা যেন অবৈধ অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করতে পারি; আমি এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাইছি। তিনি আরো বলেন, মাদক আমাদের বড় সমস্যা। এই মাদক আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য খুবই জরুরি। এ কারণে এটি নিয়ে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। মাদকের গডফাদারদের আমরা আইনের আওতায় আনার জন্যও কাজ করছি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। পূজা যেন ঠিকভাবে হতে পারে, সে বিষয় আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা আশা করছি, পূজাটা খুব ভালোভাবে শেষ হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সীমান্ত নিয়ে যে সমস্যা সেটি নিতে আলোচনা হয়েছে। আমরা কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছি, সেটি অনগ্রাউন্ড দেখতে পাবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেশে এখন বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা কমবেশি ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হাতে। তাদের বেশির ভাগই আবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। বিভিন্ন থানায় বৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের হালনাগাদ হওয়া তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিগত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বেসামরিক জনগণকে প্রদান করা হয়েছে, তাদের প্রদানকৃত লাইসেন্স স্থগিত করা হলো।’ আরো বলা হয়, এ নির্দেশনার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তিনি ‘দ্য আর্মস অ্যাক্ট ১৮৭৮’ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পরে গত ২৭ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার সময়ও বেঁধে দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া এবং পাবলিক রিলেশন বিভাগের এআইজি এনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, সারাদেশের থানাগুলো থেকে কত অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে, তা মঙ্গলবারের পর জানানো হবে।

তিনি জানান, ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের তিন হাজার ৮৮০টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গোলাবারুদের মধ্যে দুই লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ রাউন্ড গুলি, ২২ হাজার ২০১টি টিয়ার গ্যাসের সেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া লুণ্ঠিত দুই হাজার ১৩৯টি সাউন্ড গ্রেনেডও উদ্ধার হয়েছে। জানা যায়, শুধু রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে এক হাজার ৮৯৮টি অস্ত্র লুট করা হয়। এর মধ্যে গত ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ৪৫৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি এক হাজার ৪৪৫টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি।

জানা যায়, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের যৌথ সমন্বয়ে অপারেশন টিম গঠন করে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

মহানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবেন পুলিশ কমিশনার। সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় কমিশনার এ অভিযান পরিচালনা করবেন।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোর কমিটির মাধ্যমে স্থগিত করা লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনার ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হবে। এই কমিটিতে পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণ বা হেফাজতকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি জেলা তথ্য অফিস প্রচার করবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি এনামুল হক সাগর বলেন, প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে মঙ্গলবারের পরে কিন্তু সেগুলো অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য হবে এবং অস্ত্র আইনে কিন্তু মামলা রুজু হবে।

তিনি বলেন, আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কোনো কিছু যেন কখনো সংগঠিত না হয় সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আর অস্ত্র, গোলাবারুদ যেগুলো এখনো মিসিং রয়েছে সেগুলোতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি, করবো।