সিনিয়র রিপোর্টার
তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণভবনকে জুলাই গণহত্যার স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের (কেবিনেট) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে গণভবন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যে জাদুঘর নির্মাণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। কাজ শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে। গণভবন যেই অবস্থায় আছে সর্বোচ্চ সেই অবস্থায় রেখে জাদুঘর নির্মাণের চেষ্টা করা হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ও নিহতদের ইতিহাস থাকবে এই জাদুঘরে। পাশাপাশি গত ১৬ বছরে যত নিয়মবহির্ভূত হত্যা গুম খুন হয়েছে তারও দলিল থাকবে।
তিনি বলেন, গণভবনে আমরা দেখেছি, প্রচুর দেয়াললিখন রয়েছে, গ্রাফিতি রয়েছে। মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ পুরো ভবনের চারপাশে। এখানে যেসব আসবাব লুট হয়েছে, পরে যেগুলো মানুষ রেখে গেছেন-সব কটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব সেগুলোকে রেখেই কার্যক্রম শুরু করতে।’
আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের তালিকা ও চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে নাহিদ বলেন, আমাদের শহীদ পরিবারের তালিকা শেষের দিকে। এসব পরিবার নিয়ে আমরা স্মরণসভার আয়োজন করব। সেখানেই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ঘোষণা দেওয়া হবে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতিসহ অন্যান্য প্রতিশ্রুতি ও হতাহতের তালিকা আমরা সেখানে ঘোষণা করব।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- শিল্প, গণপূর্ত ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
গণভবনকে জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতায় ঘটনা ধরে রাখতে জাদুঘর করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিন উপদেষ্টা সেখানে পরিদর্শন করেছেন।