ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনকারী চিকিৎসক থেকে দু’জনকে সহকারী উপদেষ্টা বানানোর দাবি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 34

অনলাইন ডেস্ক  :  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গতিশীলতা বাড়াতে ছাত্র সমন্বয়ক এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের মধ্য থেকে সহকারী স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসেবে ন্যূনতম দুইজনকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)। এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও ১৭টি দাবি জানানো হয়। বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বৈষম্য ও নিপীড়নমুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার লক্ষ্যে’ এনডিএফ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তৃতায় এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে গতিশীলতা আনতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বৈরাচারের দোসরদের অতিদ্রুত সরিয়ে সৎ, দক্ষ, যোগ্য এবং বৈষম্যের শিকার চিকিৎসক কর্মকর্তাদের পদায়ন করে স্বাস্থ্য প্রশাসন ঢেলে সাজাতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকারকারীদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে, একইসঙ্গে তাদের বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে আইনের আওতায় আনতে হবে। শান্তি সমাবেশে যোগদানকারী ও ফ্যাসিবাদের দোসর সব চিকিৎসক ও কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর তালিকা প্রণয়ন করে তাদেরকে পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে তথা দেশের আপামর জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই লক্ষ্যে শক্তিশালী স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করতে হবে। এগুলো ছাড়াও আরও বেশকিছু দাবি-দাওয়া জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন।এ সময় তিনি বলেন, মেডিকেল এথিকস অনুযায়ী জাতি-ধর্ম-গোত্র- রাজনৈতিক পরিচয় সবকিছুর বাইরে গিয়ে একজন চিকিৎসকের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে রোগীর চিকিৎসা করা। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আহত-নিহতদের তালিকা করা হয়েছে। আমরা প্রায় সব হাসপাতালে আহত রোগীদের খোঁজ রাখার ব্যাপারটি অব্যাহত রেখেছি, যাতে সবাই সুচিকিৎসা পায়।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সহ-সভাপতি ডা. মো. আতিয়ার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. তোফাজ্জল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো. শাহাদাত হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক ডা. একেএম জিয়াউল হক প্রমুখ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

তিনদিনের রিমান্ডে এনএস আইয়ের সাবেক পরিচালক কমোডর মনিরুল ইসলাম

আন্দোলনকারী চিকিৎসক থেকে দু’জনকে সহকারী উপদেষ্টা বানানোর দাবি

আপডেট সময় ০৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  :  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গতিশীলতা বাড়াতে ছাত্র সমন্বয়ক এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের মধ্য থেকে সহকারী স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসেবে ন্যূনতম দুইজনকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)। এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও ১৭টি দাবি জানানো হয়। বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বৈষম্য ও নিপীড়নমুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার লক্ষ্যে’ এনডিএফ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তৃতায় এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে গতিশীলতা আনতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বৈরাচারের দোসরদের অতিদ্রুত সরিয়ে সৎ, দক্ষ, যোগ্য এবং বৈষম্যের শিকার চিকিৎসক কর্মকর্তাদের পদায়ন করে স্বাস্থ্য প্রশাসন ঢেলে সাজাতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকারকারীদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে, একইসঙ্গে তাদের বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে আইনের আওতায় আনতে হবে। শান্তি সমাবেশে যোগদানকারী ও ফ্যাসিবাদের দোসর সব চিকিৎসক ও কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর তালিকা প্রণয়ন করে তাদেরকে পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে তথা দেশের আপামর জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই লক্ষ্যে শক্তিশালী স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করতে হবে। এগুলো ছাড়াও আরও বেশকিছু দাবি-দাওয়া জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন।এ সময় তিনি বলেন, মেডিকেল এথিকস অনুযায়ী জাতি-ধর্ম-গোত্র- রাজনৈতিক পরিচয় সবকিছুর বাইরে গিয়ে একজন চিকিৎসকের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে রোগীর চিকিৎসা করা। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আহত-নিহতদের তালিকা করা হয়েছে। আমরা প্রায় সব হাসপাতালে আহত রোগীদের খোঁজ রাখার ব্যাপারটি অব্যাহত রেখেছি, যাতে সবাই সুচিকিৎসা পায়।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সহ-সভাপতি ডা. মো. আতিয়ার রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. তোফাজ্জল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো. শাহাদাত হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক ডা. একেএম জিয়াউল হক প্রমুখ।