ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে আ. লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে যা বললেন বদিউল আলম মজুমদার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 90

সিনিয়র রিপোর্টার

নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী, তাদের বিচার করা দরকার। বিশেষ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের বিচার সম্পন্ন না হলে এবং তারা পুনর্গঠিত হতে না পারলে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রধান ড. বদিউল  আলম মজুমদার।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সম্ভব। তবে আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করার পক্ষে কেউ নেই। 

সংবিধানের সংস্কার করতে হবে জানিয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, নির্বাচন কমিশন দলীয় কর্মীদের মতো কাজ করেছে। একটা নির্বাচন আয়োজন করা দরকার, তাই করেছে তারা। যারা ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে তারা সুস্পষ্টভাবে সংবিধান লঙ্ঘনকারী। আদালতের নির্দেশও অমান্য করেছে তারা।  সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচার হওয়া দরকার বলেও মনে করেন বদিউল আলম মজুমদার। না হলে আগামীতে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে না। 

বিগত তিন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ মানুষ সবাই নির্বাচনী অপরাধী, তাদের শাস্তি হওয়া যৌক্তিক। তবে সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে সংসদ দরকার। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব নয়। সংবিধান সংস্কার মানে সব কিছু বাদ দিয়ে দেয়া নয়। সংবিধান বাতিল করে, গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন করা সম্ভব।

নির্বাচন সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরপিও আইন ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে। তাছাড়া এটি কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল একটি রুটিন সরকার, তিন মাসের সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটি নয়। তাদের চারদিকে জঞ্জাল। 

অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি-লুটপাট করেছে, নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সঠিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং তারা যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা সুপারিশ করব।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে আ. লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে যা বললেন বদিউল আলম মজুমদার

আপডেট সময় ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী, তাদের বিচার করা দরকার। বিশেষ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের বিচার সম্পন্ন না হলে এবং তারা পুনর্গঠিত হতে না পারলে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রধান ড. বদিউল  আলম মজুমদার।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সম্ভব। তবে আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করার পক্ষে কেউ নেই। 

সংবিধানের সংস্কার করতে হবে জানিয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, নির্বাচন কমিশন দলীয় কর্মীদের মতো কাজ করেছে। একটা নির্বাচন আয়োজন করা দরকার, তাই করেছে তারা। যারা ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে তারা সুস্পষ্টভাবে সংবিধান লঙ্ঘনকারী। আদালতের নির্দেশও অমান্য করেছে তারা।  সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচার হওয়া দরকার বলেও মনে করেন বদিউল আলম মজুমদার। না হলে আগামীতে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে না। 

বিগত তিন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ মানুষ সবাই নির্বাচনী অপরাধী, তাদের শাস্তি হওয়া যৌক্তিক। তবে সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে সংসদ দরকার। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন সম্ভব নয়। সংবিধান সংস্কার মানে সব কিছু বাদ দিয়ে দেয়া নয়। সংবিধান বাতিল করে, গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন করা সম্ভব।

নির্বাচন সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরপিও আইন ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে। তাছাড়া এটি কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল একটি রুটিন সরকার, তিন মাসের সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটি নয়। তাদের চারদিকে জঞ্জাল। 

অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি-লুটপাট করেছে, নির্বাচনী অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সঠিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং তারা যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা সুপারিশ করব।