ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইসিটি সেক্টরের দু্র্নীতি তদন্তে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 10

সিনিয়র রিপোর্টার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেক্টরে দুর্নীতির সঠিক তদন্ত পূর্বক দূনীতিবাজ ও তার সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের হস্তক্ষপ কামনা করেছেন ‘জুলাই ৩৬’ সংগঠনের আহ্বায়ক নাজির শাহীন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান জুলাই মাস থেকে শুরু হয়। সে জন্য এই সংগঠনের নামকরণ করা হয় জুলাই ৩৬।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এই খাতে দুর্নীতির কারণে শুধু আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, বাংলাদেশের ডিজিটাল উন্নয়নকেও বাধাগ্রস্থ করেছে। তহবিলগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার করা এবং তাদের অভিপ্রেত লক্ষ্যে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে এই সমস্যাগুলোর সমন্বয়ের জন্য কঠোর শাসন এবং স্বাধীন নিরীক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু তা এই খাতে হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইসিটি উদ্ভাবন এবং স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের প্রচারের উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মসূচিগুলোও পক্ষপাতিত্ব এবং তহবিলের অপব্যবহার হয়েছে। কিছু প্রযুক্তি উদ্যোক্তা দাবি করেছেন, সরকারি তহবিলের অ্যাক্সেস প্রায়ই রাজনৈতিক সংযোগের সঙ্গে সীমাবদ্ধ থাকে, যা সত্যিকারের উদ্ভাবন এবং প্রতিযোগিতাকে দমিয়ে রাখে।

বাংলাদেশের আইসিটি অবকাঠামো বাড়াতে উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক সাহায্য ও অনুদান পেয়েছে। তবে এসব তহবিল বরাদ্দে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই অনুমানের অপব্যবহার প্রায়ই ডিজিটাইজেশন এবং আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার অগ্রগতিকে ধীর করে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাইবার নিরাপত্তা চুক্তির দুর্বল পরিচালনা এবং নিরাপত্তা পরিকাঠামোর একটি তহবিলের অপব্যবহারের দিকে পরিচালিত করেছে। সরকারী ডাটাবেস এবং অবকাঠামোর জন্য সাইবার নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য নিযুক্ত কোম্পানিগুলির অযোগ্য বা অভিজ্ঞতার অভাব ছিল, কীভাবে চুক্তি প্রদান করা হয়েছিল তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে

সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবি তুলে ধরে ‘জুলাই ৩৬’ সংগঠনটি। দাবিগুলো হচ্ছে-

আইসিটির সংস্কার কমিশন গঠন, দুর্নীতির তদন্তের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন, স্টেকহোল্ডারদের ব্যস্ততা, জাতীয় নিরাপত্তা, নীতি সহায়তা (আইটি, আইটিইএস) আইসিটি সেক্টরের জন্য পাঁচ বছরের পরিকল্পনা, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সরকারি, বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে নাজির শাহীন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটলিাইটে ১ এর জন্য খরচ হয়েছিল চার বিলিয়ন ডলার। ওই সময় বলা হয়েছিল বাংলাদেশসহ প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে এই টাকার রেভিনিউ আসবে। আসলেই কি রেভিনিউ এসেছে? এছাড়া চারটি হাই টেক পার্কের জন্য ইনভেস্ট করা হয় ১৫/১৬ হাজার কোটি টাকা। ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে এই সেক্টর থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়কসহ, ইলিয়াস মোল্লা, নঈদ হোসেন ও আহসান হাবিব উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আইসিটি সেক্টরের দু্র্নীতি তদন্তে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

আপডেট সময় ০৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেক্টরে দুর্নীতির সঠিক তদন্ত পূর্বক দূনীতিবাজ ও তার সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের হস্তক্ষপ কামনা করেছেন ‘জুলাই ৩৬’ সংগঠনের আহ্বায়ক নাজির শাহীন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান জুলাই মাস থেকে শুরু হয়। সে জন্য এই সংগঠনের নামকরণ করা হয় জুলাই ৩৬।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এই খাতে দুর্নীতির কারণে শুধু আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, বাংলাদেশের ডিজিটাল উন্নয়নকেও বাধাগ্রস্থ করেছে। তহবিলগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার করা এবং তাদের অভিপ্রেত লক্ষ্যে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে এই সমস্যাগুলোর সমন্বয়ের জন্য কঠোর শাসন এবং স্বাধীন নিরীক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু তা এই খাতে হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইসিটি উদ্ভাবন এবং স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের প্রচারের উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মসূচিগুলোও পক্ষপাতিত্ব এবং তহবিলের অপব্যবহার হয়েছে। কিছু প্রযুক্তি উদ্যোক্তা দাবি করেছেন, সরকারি তহবিলের অ্যাক্সেস প্রায়ই রাজনৈতিক সংযোগের সঙ্গে সীমাবদ্ধ থাকে, যা সত্যিকারের উদ্ভাবন এবং প্রতিযোগিতাকে দমিয়ে রাখে।

বাংলাদেশের আইসিটি অবকাঠামো বাড়াতে উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক সাহায্য ও অনুদান পেয়েছে। তবে এসব তহবিল বরাদ্দে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই অনুমানের অপব্যবহার প্রায়ই ডিজিটাইজেশন এবং আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টার অগ্রগতিকে ধীর করে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাইবার নিরাপত্তা চুক্তির দুর্বল পরিচালনা এবং নিরাপত্তা পরিকাঠামোর একটি তহবিলের অপব্যবহারের দিকে পরিচালিত করেছে। সরকারী ডাটাবেস এবং অবকাঠামোর জন্য সাইবার নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য নিযুক্ত কোম্পানিগুলির অযোগ্য বা অভিজ্ঞতার অভাব ছিল, কীভাবে চুক্তি প্রদান করা হয়েছিল তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে

সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবি তুলে ধরে ‘জুলাই ৩৬’ সংগঠনটি। দাবিগুলো হচ্ছে-

আইসিটির সংস্কার কমিশন গঠন, দুর্নীতির তদন্তের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন, স্টেকহোল্ডারদের ব্যস্ততা, জাতীয় নিরাপত্তা, নীতি সহায়তা (আইটি, আইটিইএস) আইসিটি সেক্টরের জন্য পাঁচ বছরের পরিকল্পনা, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সরকারি, বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে নাজির শাহীন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটলিাইটে ১ এর জন্য খরচ হয়েছিল চার বিলিয়ন ডলার। ওই সময় বলা হয়েছিল বাংলাদেশসহ প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে এই টাকার রেভিনিউ আসবে। আসলেই কি রেভিনিউ এসেছে? এছাড়া চারটি হাই টেক পার্কের জন্য ইনভেস্ট করা হয় ১৫/১৬ হাজার কোটি টাকা। ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে এই সেক্টর থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়কসহ, ইলিয়াস মোল্লা, নঈদ হোসেন ও আহসান হাবিব উপস্থিত ছিলেন।