ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুমার নামাজে আগের খতিব ফিরে আসায় বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ : কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন

অনলাইন ডেস্ক  

বায়তুল মোকাররমে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের সময় আগের খতিব মুফতি রুহুল আমিনের পেছনে নামাজ না পড়া নিয়ে বিতর্কের একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া পলাতক খতিব মুফতি রুহুল আমিন বয়ান করার জন্য আসেন। এ সময় সাধারণ মুসল্লিরা তার পেছনে নামাজ পড়তে অনীহা প্রকাশ করেন।  রুহুল আমিনের ভাড়াটিয়া কিছু লোক এর প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে পরে দুপক্ষের লোকজন হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়ান।  এ সময় নামাজ না পড়িয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মুফতি রুহুল আমিন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় পলাতক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বর্তমান খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এমন সময় বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এতে করে মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন। অনেকে ওই সময় মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে সোয়া একটা দিকে আবার সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন।

এদিকে, এমন ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  মসজিদের সামনের রাস্তায় রাখা হয়েছে একটি প্রিজন ভ্যান। বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনে রাখা হয়েছে একটি পুলিশের এপিসি কার (অস্ত্রসজ্জিত যান)। পল্টন মোড়ে রয়েছে জল কামান এবং কয়েক শতাধিক পুলিশ।

ট্যাগস

দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধান, অস্ত্র-ড্রোন উদ্ধার

জুমার নামাজে আগের খতিব ফিরে আসায় বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ : কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন

আপডেট সময় ২ ঘন্টা আগে
অনলাইন ডেস্ক  

বায়তুল মোকাররমে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের সময় আগের খতিব মুফতি রুহুল আমিনের পেছনে নামাজ না পড়া নিয়ে বিতর্কের একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া পলাতক খতিব মুফতি রুহুল আমিন বয়ান করার জন্য আসেন। এ সময় সাধারণ মুসল্লিরা তার পেছনে নামাজ পড়তে অনীহা প্রকাশ করেন।  রুহুল আমিনের ভাড়াটিয়া কিছু লোক এর প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে পরে দুপক্ষের লোকজন হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়ান।  এ সময় নামাজ না পড়িয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মুফতি রুহুল আমিন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় পলাতক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বর্তমান খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এমন সময় বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এতে করে মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন। অনেকে ওই সময় মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে সোয়া একটা দিকে আবার সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন।

এদিকে, এমন ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  মসজিদের সামনের রাস্তায় রাখা হয়েছে একটি প্রিজন ভ্যান। বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনে রাখা হয়েছে একটি পুলিশের এপিসি কার (অস্ত্রসজ্জিত যান)। পল্টন মোড়ে রয়েছে জল কামান এবং কয়েক শতাধিক পুলিশ।