ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশেষ অনুরোধে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি : মৎস্য উপদেষ্টা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 33

সিনিয়র রিপোর্টার

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের বিশেষ অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। 

এদিকে এদিন ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রপ্তানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক বরাবরে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে এটি (রপ্তানির অনুমোদন) দিয়েছে। তারা একটা অনুরোধের প্রেক্ষিতে দিয়েছেন। ভারতের দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুরোধ ছিল। সে অনুযায়ী তারা করেছেন। সেটি তাদের তো আমি জোর করতে পারি না।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে আইনি নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।

আইনি নোটিশে বলা হয়, ভারতের বিশাল ও বিস্তৃত সমুদ্র সীমা রয়েছে। ভারতের জলসীমায় ব্যাপকভাবে ইলিশ উৎপাদন হয়। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ মাছ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্ট ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর ইলিশ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। ফলে দেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার ইলিশ পায় না।

আরও বলা হয়, পদ্মা নদীতে যে সীমিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়, তা দেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট নয়। এই অবস্থায় যদি পদ্মার সব ইলিশ ভারতে চলে যায় তাহলে বাংলাদেশের জনগণ পদ্মার ইলিশ খেতে পারবে না। এভাবে বাংলাদেশের জনগণকে পদ্মার ইলিশ থেকে বঞ্চিত করে ভারতের জনগণকে পদ্মার ইলিশ খাওয়ানো বাংলাদেশের সরকারের জন্য সমীচীন নয়। এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস ভারত থেকে আমদানি করে কিন্তু ভারত সরকার কখনোই তার নিজের দেশের জনগণের চাহিদা না মিটিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি করে না।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশেষ অনুরোধে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি : মৎস্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের বিশেষ অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। 

এদিকে এদিন ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রপ্তানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক বরাবরে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে এটি (রপ্তানির অনুমোদন) দিয়েছে। তারা একটা অনুরোধের প্রেক্ষিতে দিয়েছেন। ভারতের দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুরোধ ছিল। সে অনুযায়ী তারা করেছেন। সেটি তাদের তো আমি জোর করতে পারি না।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে আইনি নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।

আইনি নোটিশে বলা হয়, ভারতের বিশাল ও বিস্তৃত সমুদ্র সীমা রয়েছে। ভারতের জলসীমায় ব্যাপকভাবে ইলিশ উৎপাদন হয়। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ মাছ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্ট ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর ইলিশ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। ফলে দেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার ইলিশ পায় না।

আরও বলা হয়, পদ্মা নদীতে যে সীমিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়, তা দেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট নয়। এই অবস্থায় যদি পদ্মার সব ইলিশ ভারতে চলে যায় তাহলে বাংলাদেশের জনগণ পদ্মার ইলিশ খেতে পারবে না। এভাবে বাংলাদেশের জনগণকে পদ্মার ইলিশ থেকে বঞ্চিত করে ভারতের জনগণকে পদ্মার ইলিশ খাওয়ানো বাংলাদেশের সরকারের জন্য সমীচীন নয়। এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস ভারত থেকে আমদানি করে কিন্তু ভারত সরকার কখনোই তার নিজের দেশের জনগণের চাহিদা না মিটিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি করে না।