ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই যুগ প্রধান কর্যালয়ে সুবিধাবাদি মৎস্য কর্মকর্তা বৈষম্যের দোহাই দিয়ে ইলিশ শাখার প্রধান হতে মরিয়া

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 55
বিশেষ প্রতিবেদক :

মৎস্য অধিদপ্তরে  সদ্য প্রমোশন পাওয়া উপ-পরিচালক একমাত্র সুবিধাবাদি মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমি বৈষম্যের দোহাই দিয়ে প্রধান কার্যালয়ে ইলিশ শাখার প্রধান হতে মরিয়া। তিনি দুই যুগ ধরে রাজধানীর মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় কর্মরত।  এ নিয়ে অন্যান্য অফিসারদের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। অনেকেই বলছেন কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমিকে যদি আবারো প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করা হয় তাহলে মৎস্য অধিদপ্তরে আন্দোলনের বিকল্প নাই।  অপর একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমির শেল্টারদাতা হলেন মন্ত্রনালয়ের চাটুকার কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল কাইয়ুম।  তিনি গত ৩০ জুলাই পরিসংখ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলির আদেশ হলেও  এখনও যোগদান করেননি অথবা ঐ বদলি আদেশ বাতিলও হয়নি। এই অতিরিক্ত সচিবের বদলির আদেশ শোনার পর অনেক কর্মকর্তার মনে সস্তি নেমে আসলেও এখনো তিনি মন্ত্রণালয় না ছাড়াই অনেক মৎস্য কর্মকর্তা ভেতরে ভেতরে খোভ প্রকাশ করছেন। তাই অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল কাইউম কে দ্রুত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে তাকে রিলিজ দেওয়ার ব্যাপারে সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ঐ সকল মৎস্য কর্মকর্তারা। অপর একটি সূত্র জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পুঁজি করে একটি বিশেষ দলের কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা রেখে নিজেকে বিপদমুক্ত মনে করছেন এই তদবিরবাজ মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদআরা মমি।

সূত্র জানায়, মমি নিজেকে চরম লেভেলের বৈষম্য বিরোধী দাবী করে অধিদপ্তরে অনেকেরই আসা-যাওয়ার খবরদারি করছে । নিজের চাতুরতা তা আড়াল করতে রাতারাতি তিনি বৈষম্যের লেবাস পরেছেন । বৈষম্য বিরোধী মনে করতে বাধ্য হন। চতুর মৎস্য কর্মকর্তা মমি ২১ বিসিএস এ চাকুরীতে যোগ দেয়ার পর থেকেই প্রধান কার্যালয় ছাড়তে হয়নি তাকে একদিনের জন্যেও। জানা যায়, তিনি দুই যুগ ধরে মৎস্য অধিদপ্তরে প্রধান কার্যালয় আছেন। বেতনের স্কেল এবং পদবী পরিবর্তন হয়েছে করা লাগেনি রুম ও চেয়ার পরিবর্তন। আর তিনিই ইতিহাস এটি একমাত্র বিরল একমাত্র সুবিধাভোগী মৎস্য কর্মকর্তা । নিজেকে বিরাট বৈষম্যের স্বীকার মৎস্য কর্মকর্তা মনে করেন তিনি তবে কীভাবে তিনি  বৈষম্যের শিকার হয়েছেন এটা মমিরও জানা নেই। গত জোট সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আওমী লীগ সরকারের  দীর্ঘ ১৬বছর গেল এখন মধ্যবর্তী সরকার তাই অনেকেই বলছেন সরকার আসে সরকার যায় মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমির কোন পরিবর্তন নাই।

একটি সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানী চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মৎস্য সপ্তাহের অনুষ্ঠানে এসবির বিশেষ পাস নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন । আবার গত চার আগস্ট রাজধানীর ফার্মগেট কেআইবি র সড়কে শান্তি সমাবেশে প্লেকার্ড হাতে বেশ হাস্যজ্জল ভাবে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে স্লোগান দিতেও দেখা গেছে এই মাসুদআরা মমিকে। এত কিছুর পরেও তিনি একমাত্র বৈষম্যের শিকার মৎস্য কর্মকর্তা  অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তার মনে প্রশ্ন। নাম প্রকাশ করার না শর্ত এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন রাজধানীর বাইরে কাজ করছি, প্রধান কার্যালয়ে পোস্টিং নেওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারিনা । সেখানে ২১ বিসিএস এর কর্মকর্তার মাসুদআরা মমি বিভিন্ন সরকারের সময় নানান অজুহাতে দেখিয়ে প্রধান কার্যালয়ে চাকরি করছেন। এখন এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর আমি আশা করব মৎস্য অধিদপ্তরেও এ জাতীয় বৈষম্য থেকে মুক্ত হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে সমস্ত কর্মকর্তা সুবিধা ভোগ করেছেন মাছুদ আরা মমি তাদের মধ্যে অন্যতম। এ ব্যপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বেলাল হায়দার কে একাধিকবার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

দুই যুগ প্রধান কর্যালয়ে সুবিধাবাদি মৎস্য কর্মকর্তা বৈষম্যের দোহাই দিয়ে ইলিশ শাখার প্রধান হতে মরিয়া

আপডেট সময় ০৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিশেষ প্রতিবেদক :

মৎস্য অধিদপ্তরে  সদ্য প্রমোশন পাওয়া উপ-পরিচালক একমাত্র সুবিধাবাদি মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমি বৈষম্যের দোহাই দিয়ে প্রধান কার্যালয়ে ইলিশ শাখার প্রধান হতে মরিয়া। তিনি দুই যুগ ধরে রাজধানীর মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় কর্মরত।  এ নিয়ে অন্যান্য অফিসারদের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। অনেকেই বলছেন কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমিকে যদি আবারো প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করা হয় তাহলে মৎস্য অধিদপ্তরে আন্দোলনের বিকল্প নাই।  অপর একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমির শেল্টারদাতা হলেন মন্ত্রনালয়ের চাটুকার কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল কাইয়ুম।  তিনি গত ৩০ জুলাই পরিসংখ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলির আদেশ হলেও  এখনও যোগদান করেননি অথবা ঐ বদলি আদেশ বাতিলও হয়নি। এই অতিরিক্ত সচিবের বদলির আদেশ শোনার পর অনেক কর্মকর্তার মনে সস্তি নেমে আসলেও এখনো তিনি মন্ত্রণালয় না ছাড়াই অনেক মৎস্য কর্মকর্তা ভেতরে ভেতরে খোভ প্রকাশ করছেন। তাই অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল কাইউম কে দ্রুত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে তাকে রিলিজ দেওয়ার ব্যাপারে সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ঐ সকল মৎস্য কর্মকর্তারা। অপর একটি সূত্র জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পুঁজি করে একটি বিশেষ দলের কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা রেখে নিজেকে বিপদমুক্ত মনে করছেন এই তদবিরবাজ মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদআরা মমি।

সূত্র জানায়, মমি নিজেকে চরম লেভেলের বৈষম্য বিরোধী দাবী করে অধিদপ্তরে অনেকেরই আসা-যাওয়ার খবরদারি করছে । নিজের চাতুরতা তা আড়াল করতে রাতারাতি তিনি বৈষম্যের লেবাস পরেছেন । বৈষম্য বিরোধী মনে করতে বাধ্য হন। চতুর মৎস্য কর্মকর্তা মমি ২১ বিসিএস এ চাকুরীতে যোগ দেয়ার পর থেকেই প্রধান কার্যালয় ছাড়তে হয়নি তাকে একদিনের জন্যেও। জানা যায়, তিনি দুই যুগ ধরে মৎস্য অধিদপ্তরে প্রধান কার্যালয় আছেন। বেতনের স্কেল এবং পদবী পরিবর্তন হয়েছে করা লাগেনি রুম ও চেয়ার পরিবর্তন। আর তিনিই ইতিহাস এটি একমাত্র বিরল একমাত্র সুবিধাভোগী মৎস্য কর্মকর্তা । নিজেকে বিরাট বৈষম্যের স্বীকার মৎস্য কর্মকর্তা মনে করেন তিনি তবে কীভাবে তিনি  বৈষম্যের শিকার হয়েছেন এটা মমিরও জানা নেই। গত জোট সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আওমী লীগ সরকারের  দীর্ঘ ১৬বছর গেল এখন মধ্যবর্তী সরকার তাই অনেকেই বলছেন সরকার আসে সরকার যায় মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমির কোন পরিবর্তন নাই।

একটি সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানী চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মৎস্য সপ্তাহের অনুষ্ঠানে এসবির বিশেষ পাস নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন । আবার গত চার আগস্ট রাজধানীর ফার্মগেট কেআইবি র সড়কে শান্তি সমাবেশে প্লেকার্ড হাতে বেশ হাস্যজ্জল ভাবে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে স্লোগান দিতেও দেখা গেছে এই মাসুদআরা মমিকে। এত কিছুর পরেও তিনি একমাত্র বৈষম্যের শিকার মৎস্য কর্মকর্তা  অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তার মনে প্রশ্ন। নাম প্রকাশ করার না শর্ত এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন রাজধানীর বাইরে কাজ করছি, প্রধান কার্যালয়ে পোস্টিং নেওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারিনা । সেখানে ২১ বিসিএস এর কর্মকর্তার মাসুদআরা মমি বিভিন্ন সরকারের সময় নানান অজুহাতে দেখিয়ে প্রধান কার্যালয়ে চাকরি করছেন। এখন এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর আমি আশা করব মৎস্য অধিদপ্তরেও এ জাতীয় বৈষম্য থেকে মুক্ত হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে সমস্ত কর্মকর্তা সুবিধা ভোগ করেছেন মাছুদ আরা মমি তাদের মধ্যে অন্যতম। এ ব্যপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বেলাল হায়দার কে একাধিকবার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।