অনলাইন ডেস্ক : সাম্প্রতিক কানাডায় বসবাস করা শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে দেশটির সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। এই খুনের পেছনে ভারত সরকার জড়িত- এমনটাই অভিযোগ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। এ নিয়েই দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক টানাপোড়েন চলছে। কূটনীতিকদের পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই ও রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড খবর দিয়েছে যে, শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা খুবই দুঃখজনক। আমি ঘটনার বিস্তারিত জানি না, সেজন্য আমি কোনো ধরনের মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু আমরা ভারতকে নিয়ে খুবই গর্বিত। কারণ তারা অপরিপক্ব কিছু করে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের খুবই দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। সেটা মূল্যবোধ ও নীতির উপর ভিত্তি করে গঠিত। আমি আশা করি যে, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের বিষয়টির শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অটোয়ায় শিখ সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার সরকারের অভিযোগকে ‘দুঃখজনক পর্ব’ উল্লেখ করে মোমেন আশা প্রকাশ করেছেন যে, সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে এই লড়াইয়ের সমাধান করা হবে।’
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধরের ভার সিং পুরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই গ্রামেই তার জন্ম। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কানাডায় বসবাস করতেন তিনি। পাঞ্জাব থেকে ১৯৯৭ সালে তিনি কানাডায় পাড়ি জমান। সেখানে মিস্ত্রির কাজ করতেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) লোটে নিউ ইয়র্ক প্যালস হোটেলের ওই সাক্ষাতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।