ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএএসবি’র ৩০ মেডিকেল ডিসপেনসারি উদ্বোধন করলেন সেনাবাহিনীর প্রধান

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • 35

অনলাইন ডেস্ক  :  ঢাকাসহ সারাদেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ডের (বিএএসবি) ৩০টি মেডিকেল ডিসপেনসারির উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মঙ্গলবার ইসিবি চত্বরে ঢাকা জেলার জন্য স্থাপিত মেডিকেল ডিসপেনসারিতে উপস্থিত হয়ে ভিডিও টেলিকনফারেন্সিংয়ের (ভিটিসি) মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নতুন করে স্থাপিত আরও ৩০টি মেডিকেল ডিসপেনসারির উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান। এরপর তিনি অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের কল্যাণার্থে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড কর্তৃক সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং সেনাকল্যাণ সংস্থার অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩১টি মেডিকেল ডিসপেনসারি পরিচালিত হচ্ছে। আজ আরও ৩০টি নতুন মেডিকেল ডিসপেনসারির কার্যক্রম শুরুর মধ্যদিয়ে দেশের ৬১টি জেলায় অবসরপ্রাপ্ত ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৪ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজতর হবে। 

উল্লেখ্য, অবশিষ্ট ৩টি জেলায় সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত মেইন ড্রেসিং স্টেশন (এমডিএস) হতে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তাদের পরিবারবর্গ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। প্রতিটি জেলায় মেডিকেল ডিসপেনসারি স্থাপনের ফলে তাদের অর্থ ও সময় উভয়ই বাঁচবে এবং দূরদূরান্ত থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের ঔষধ সংগ্রহের সমস্যাও অনেকাংশে লাঘব হবে। 

এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবায় সিএমএইচসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাইভেট হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রেশন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক এ বিষয়ে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য ও পরিবারবর্গের জীবনযাত্রার মান বহুলাংশে উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন জেলার বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ (ভিটিসির মাধ্যমে), সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তাদের পরিবারবর্গ এবং গণমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএএসবি’র ৩০ মেডিকেল ডিসপেনসারি উদ্বোধন করলেন সেনাবাহিনীর প্রধান

আপডেট সময় ০৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  :  ঢাকাসহ সারাদেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ডের (বিএএসবি) ৩০টি মেডিকেল ডিসপেনসারির উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মঙ্গলবার ইসিবি চত্বরে ঢাকা জেলার জন্য স্থাপিত মেডিকেল ডিসপেনসারিতে উপস্থিত হয়ে ভিডিও টেলিকনফারেন্সিংয়ের (ভিটিসি) মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নতুন করে স্থাপিত আরও ৩০টি মেডিকেল ডিসপেনসারির উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান। এরপর তিনি অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের কল্যাণার্থে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড কর্তৃক সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং সেনাকল্যাণ সংস্থার অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩১টি মেডিকেল ডিসপেনসারি পরিচালিত হচ্ছে। আজ আরও ৩০টি নতুন মেডিকেল ডিসপেনসারির কার্যক্রম শুরুর মধ্যদিয়ে দেশের ৬১টি জেলায় অবসরপ্রাপ্ত ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৪ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজতর হবে। 

উল্লেখ্য, অবশিষ্ট ৩টি জেলায় সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত মেইন ড্রেসিং স্টেশন (এমডিএস) হতে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তাদের পরিবারবর্গ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। প্রতিটি জেলায় মেডিকেল ডিসপেনসারি স্থাপনের ফলে তাদের অর্থ ও সময় উভয়ই বাঁচবে এবং দূরদূরান্ত থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের ঔষধ সংগ্রহের সমস্যাও অনেকাংশে লাঘব হবে। 

এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবায় সিএমএইচসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাইভেট হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রেশন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক এ বিষয়ে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য ও পরিবারবর্গের জীবনযাত্রার মান বহুলাংশে উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন জেলার বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ (ভিটিসির মাধ্যমে), সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তাদের পরিবারবর্গ এবং গণমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।