ঢাকা , সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যায় ও নৈতিকতার পথে জাহিদ হাসানের আওয়ামী লীগ ত্যাগ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • 105
অনলাইন ডেস্ক  :  জাহিদ হাসান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার রাজারচর উকিলকান্দির বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহিদ হাসান, একজন নিবেদিত রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার যাত্রা শুরু করেছিলেন। সমাজ ও রাজনীতিতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করা ছিল তার মূলমন্ত্র। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য তার বিবেকের ডাকে সাড়া দিতে বাধ্য হন।
আওয়ামী লীগ ত্যাগের প্রেক্ষাপট : জাহিদ হাসান আওয়ামী লীগ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন, কারণ দলটি ক্রমশই দুর্নীতি, অপশাসন এবং র‍্যাবের ক্রসফায়ারের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছিল। তিনি দলের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দমননীতির বিরুদ্ধে সরব হন। জাহিদ বিশ্বাস করেন, একটি রাজনৈতিক সংগঠন যখন জনগণের সেবার পরিবর্তে নিজের স্বার্থে কাজ করে, তখন সেই দলের থেকে দূরে সরে যাওয়াই নৈতিকভাবে সঠিক পদক্ষেপ।
পরিবারের ওপর নির্যাতন ও প্রতিহিংসা : দল ত্যাগ করার পরপরই জাহিদ হাসানের পরিবার রাজনৈতিক প্রতিশোধের শিকার হয়। দুর্বৃত্তরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে ভীত করে তুলতে চেষ্টা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জাহিদকে তার অবস্থান থেকে সরিয়ে আবার আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে ফেরানো।
কর্মজীবনে চ্যালেঞ্জ : পেশাগত জীবনে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে জাহিদ তার সততা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগ ত্যাগের পর তিনি রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েন এবং চাকরিক্ষেত্রেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। তার বিশ্বাস, সত্যের পথে থাকা কখনোই সহজ নয়, কিন্তু সত্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়াই একজন নৈতিক মানুষ হিসেবে তার কর্তব্য।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সমতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা : জাহিদ হাসান কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন সক্রিয় সমর্থক ছিলেন। নারীর অধিকার, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, এবং জেলা কোটার পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সমতা নিশ্চিত করতে কোটা সংস্কার প্রয়োজন, যাতে সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য ন্যায্য সুযোগ তৈরি হয়।
জাহিদ হাসানের নৈতিক সংগ্রাম তাকে কঠিন এক পথে নিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ ত্যাগের পরও তিনি ন্যায়ের পক্ষে থেকে নিরলসভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক নিপীড়ন ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিকূলতা সত্ত্বেও, জাহিদ তার অবস্থানে অটল আছেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছেন, যা তাকে সত্যিকারের একজন নৈতিক নেতা হিসেবে চিহ্নিত করে।

 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সহযোগী তৌফিকাসহ আনিসুল হকের ‘অবৈধ সম্পদের’ খোঁজে দুদক 

ন্যায় ও নৈতিকতার পথে জাহিদ হাসানের আওয়ামী লীগ ত্যাগ

আপডেট সময় ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক  :  জাহিদ হাসান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার রাজারচর উকিলকান্দির বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহিদ হাসান, একজন নিবেদিত রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার যাত্রা শুরু করেছিলেন। সমাজ ও রাজনীতিতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করা ছিল তার মূলমন্ত্র। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য তার বিবেকের ডাকে সাড়া দিতে বাধ্য হন।
আওয়ামী লীগ ত্যাগের প্রেক্ষাপট : জাহিদ হাসান আওয়ামী লীগ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন, কারণ দলটি ক্রমশই দুর্নীতি, অপশাসন এবং র‍্যাবের ক্রসফায়ারের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছিল। তিনি দলের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দমননীতির বিরুদ্ধে সরব হন। জাহিদ বিশ্বাস করেন, একটি রাজনৈতিক সংগঠন যখন জনগণের সেবার পরিবর্তে নিজের স্বার্থে কাজ করে, তখন সেই দলের থেকে দূরে সরে যাওয়াই নৈতিকভাবে সঠিক পদক্ষেপ।
পরিবারের ওপর নির্যাতন ও প্রতিহিংসা : দল ত্যাগ করার পরপরই জাহিদ হাসানের পরিবার রাজনৈতিক প্রতিশোধের শিকার হয়। দুর্বৃত্তরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে ভীত করে তুলতে চেষ্টা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জাহিদকে তার অবস্থান থেকে সরিয়ে আবার আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে ফেরানো।
কর্মজীবনে চ্যালেঞ্জ : পেশাগত জীবনে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে জাহিদ তার সততা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগ ত্যাগের পর তিনি রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েন এবং চাকরিক্ষেত্রেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। তার বিশ্বাস, সত্যের পথে থাকা কখনোই সহজ নয়, কিন্তু সত্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়াই একজন নৈতিক মানুষ হিসেবে তার কর্তব্য।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সমতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা : জাহিদ হাসান কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন সক্রিয় সমর্থক ছিলেন। নারীর অধিকার, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, এবং জেলা কোটার পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সমতা নিশ্চিত করতে কোটা সংস্কার প্রয়োজন, যাতে সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য ন্যায্য সুযোগ তৈরি হয়।
জাহিদ হাসানের নৈতিক সংগ্রাম তাকে কঠিন এক পথে নিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ ত্যাগের পরও তিনি ন্যায়ের পক্ষে থেকে নিরলসভাবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক নিপীড়ন ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিকূলতা সত্ত্বেও, জাহিদ তার অবস্থানে অটল আছেন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছেন, যা তাকে সত্যিকারের একজন নৈতিক নেতা হিসেবে চিহ্নিত করে।