অনলাইন ডেস্ক :
নেপাল থেকে ভারতের ভেতর দিয়ে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাস ভারতের ভেতরের সঞ্চালন লাইন দিয়ে বাংলাদেশে এই বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে। বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ) এবং ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটেড (এনভিভিএন) এর প্রতিনিধিরা চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী দীপক খাড়কা, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী পূর্ণ বাহাদুর তামাং, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম, নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক কুলমান ঘিসিং ও ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনের সিইও ডিনো নারান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাংলাদেশের পানি সম্পদ সচিব নজমুল আহসান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারিও উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের ৪০০ কেভি ধলকেবার-মুজাফফরপুর আন্তঃসীমান্ত ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে নেপাল এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এবং ভারত প্রচলিত লাইনের মাধ্যমে তা বাংলাদেশে পাঠাবে।
প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৪ সেন্ট (১০০ সেন্টে ১ ডলার)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে সাত টাকা। চুক্তির বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এই চুক্তি আঞ্চলিক জ্বালানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি শুধু তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের বিষয় নয়, বরং আমাদের দেশগুলোর দীর্ঘমেয়াদী এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াও।’
এই ঐতিহাসিক বিদ্যুৎ চুক্তি সইয়ের সাক্ষী হতে পরিবেশ উপদেষ্টা দুই দিনের সফরে নেপালে অবস্থান করছেন। চুক্তির আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সঙ্গে সিংহ দরবারে সাক্ষাৎ করেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।