ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক মন্ত্রী নাহিদ ও মোজাম্মেলের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • 42

সিনিয়র রিপোর্টার

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

দুদকের অনুসন্ধান বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গাজীপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। মন্ত্রী থাকাকালে তিনি কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে অসংখ্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রধানের মাধ্যমে স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আই বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি অনুসন্ধান করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যঅনুস্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। 

আ ক ম মোজাম্মেল হক মন্ত্রী থাকা অবস্থায় টাকার বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তার সঙ্গে লোকজন ছিল, যারা নিয়েছেন তারা তো সরকারি টাকাটা নিয়েছেন, বিনিময়ে সরকার প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা দিযেছে তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে আক্তার হোসেন বলেন, আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো যার মধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ অভিযোগের সঙ্গে যারা যুক্ত থাকবে সেখানে যারা দিয়েছেন এবং যারা নিয়েছেন তাদের বিষয়টা অবশ্যই দেখা হবে। এই দায়িত্বটা অনুসন্ধান দলের উপর অর্পিত আছে। তারা যেভাবে সুপারিশ করবেন কমিশন বিষয়য়টা সেভাবে বিবেচনা করবেন। এটা একান্তভাবে অনুসন্ধান দলের উপর নির্ভর করবে।

অপরদিকে, সিলেট ৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রয়েছে। তার ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডা. নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বন্ধু কামাল আহমেদের মাধ্যমে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। নিজ নামে, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আই বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি অনুসন্ধান করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যঅনুস্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী নাহিদ ও মোজাম্মেলের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

আপডেট সময় ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

দুদকের অনুসন্ধান বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গাজীপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। মন্ত্রী থাকাকালে তিনি কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে অসংখ্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রধানের মাধ্যমে স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আই বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি অনুসন্ধান করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যঅনুস্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। 

আ ক ম মোজাম্মেল হক মন্ত্রী থাকা অবস্থায় টাকার বিনিময়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তার সঙ্গে লোকজন ছিল, যারা নিয়েছেন তারা তো সরকারি টাকাটা নিয়েছেন, বিনিময়ে সরকার প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা দিযেছে তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে আক্তার হোসেন বলেন, আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো যার মধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ অভিযোগের সঙ্গে যারা যুক্ত থাকবে সেখানে যারা দিয়েছেন এবং যারা নিয়েছেন তাদের বিষয়টা অবশ্যই দেখা হবে। এই দায়িত্বটা অনুসন্ধান দলের উপর অর্পিত আছে। তারা যেভাবে সুপারিশ করবেন কমিশন বিষয়য়টা সেভাবে বিবেচনা করবেন। এটা একান্তভাবে অনুসন্ধান দলের উপর নির্ভর করবে।

অপরদিকে, সিলেট ৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রয়েছে। তার ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডা. নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বন্ধু কামাল আহমেদের মাধ্যমে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। নিজ নামে, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আই বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি অনুসন্ধান করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যঅনুস্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।