ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মির্জা আজমসহ সাবেক তিন এমপি’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • 36

সিনিয়র রিপোর্টার

সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মির্জা আজম ও মো. আবদুল ওদুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন ও ওদুদের স্ত্রী মর্জিনা ওদুদকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।

এছাড়াও পপুলার লাইফ ইন্স্যুইরেন্স কোম্পানির এমডি ইউসুফ আলীসহ চার জন, প্রিমিয়ার প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান মঈন ইকবাল ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন নিক্সন চৌধুরী ও মির্জা আজমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন। আবদুল ওদুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন উপপরিচালক রেজাউল করিম।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।

নিক্সনের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নিক্সন চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। জানা গেছে, নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেন সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।

এছাড়াও সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ক্ষতির কারণ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো আবশ্যক।

মির্জা আজমের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মির্জা আজমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে ইতোমধ্যে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মির্জা আজম ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তিনি দেশত্যাগ করলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র বিনষ্টসহ অনুসন্ধানকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে জনাব মির্জা আজম এর বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

ওদুদের আবেদনে বলা হয়েছে, আবদুল ওদুদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চলমান। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জা আজমসহ সাবেক তিন এমপি’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মির্জা আজম ও মো. আবদুল ওদুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন ও ওদুদের স্ত্রী মর্জিনা ওদুদকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।

এছাড়াও পপুলার লাইফ ইন্স্যুইরেন্স কোম্পানির এমডি ইউসুফ আলীসহ চার জন, প্রিমিয়ার প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান মঈন ইকবাল ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন নিক্সন চৌধুরী ও মির্জা আজমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন। আবদুল ওদুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন উপপরিচালক রেজাউল করিম।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।

নিক্সনের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নিক্সন চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। জানা গেছে, নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী তারিন হোসেন সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।

এছাড়াও সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ক্ষতির কারণ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো আবশ্যক।

মির্জা আজমের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মির্জা আজমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে ইতোমধ্যে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মির্জা আজম ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তিনি দেশত্যাগ করলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র বিনষ্টসহ অনুসন্ধানকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে জনাব মির্জা আজম এর বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

ওদুদের আবেদনে বলা হয়েছে, আবদুল ওদুদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চলমান। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।