সিনিয়র রিপোর্টার
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও যোগসাজশের মাধ্যমে ৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ১. প্রোপ্রাইটার আরসিএল প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক রাশেদুল হক চিশতী। ২. মোহাম্মদ ফারুক, পিতা- মৃত সরওয়ার হোসেন। ৩. মো. হিরন রহমান, পিতা: আব্দুস সালাম মিয়া। ৪. মো. ইব্রাহিম খান, পিতা: মো. হানিফ খান। ৫. মাসুদুর রহমান খান, সাবেক শাখা প্রধান ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, দি ফারমার্স ব্যাংক লি (বর্তমানে-পদ্মা ব্যাংক লি.), বকশীগঞ্জ শাখা, জামালপুর। ৬. মো. ফখরুজ্জামান, সাবেক সহকারী অফিসার, দি ফারমার্স ব্যাংক লি. বকশীগঞ্জ শাখা। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুদকের জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির দুদক উপ-পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্তরা ৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাত করা তহবিলের অবৈধ উৎপত্তি, অবস্থান এবং নিয়ন্ত্রণ গোপন করার লক্ষ্যে সন্দেহজনক লেনদেন করেছে। তহবিল অপব্যবহার এবং সন্দেহজনক আর্থিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগগুলি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে পড়ে, তিনি যোগ করেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক এর ৮,৮৬,০০,০০০/- টাকা (সুদ ব্যতীত) আত্মসাত এবং উৎসবিহীন ৮,৮৬,০০,০০০/- টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে গোপন ও ছয়াবৃত (স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর) করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ৪(৩) ধারার অপরাধ করায় উল্লিখিত ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় মামলা রুজু করা হয়।