ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী-শ্যালিকাসহ সার্ভেয়ার মশিউরের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

সিনিয়র রিপোর্টার

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. মশিউর রহমান, তার স্ত্রী রুমি আখতার ও শ্যালিকা রুমানা আখতারের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালত এ আদেশ দেন।

অবরুদ্ধ হওয়া হিসাবের মধ্যে সোনালী ব্যাংক পটিয়া শাখায় মশিউর ও রুমির নামে একটি, যমুনা ব্যাংকের কুমিল্লা শাখায় রুমানার নামে একটি এবং ইসলামি ব্যাংক কুমিল্লা শাখায় তার আরও চারটি হিসাব রয়েছে। মশিউরের নামে ডাচ-বাংলা লিমিটেডে দুটি, রুমি ও রুমানার নামে পৃথক দুটি হিসাব রয়েছে। এছাড়া ব্রাক ব্যাংক লিমিটেডের পটিয়া শাখায় মশিউরের নামে দুটি হিসাব রয়েছে।

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাজিদ উর রোমান তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন, নিজ নামে, তার স্ত্রী রুমি আখতার ও শ্যালিকা রুমানা আখতারের ব্যাংক হিসাবে অতি অল্প সময়ের মধ্যে তার পেশা ও আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ চার কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনদেন করেছেন। তারা ৫৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয়পূর্বক এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন করে মানিলন্ডারিং করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।

একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২(শ)(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

স্ত্রী-শ্যালিকাসহ সার্ভেয়ার মশিউরের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

আপডেট সময় এক ঘন্টা আগে

সিনিয়র রিপোর্টার

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. মশিউর রহমান, তার স্ত্রী রুমি আখতার ও শ্যালিকা রুমানা আখতারের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালত এ আদেশ দেন।

অবরুদ্ধ হওয়া হিসাবের মধ্যে সোনালী ব্যাংক পটিয়া শাখায় মশিউর ও রুমির নামে একটি, যমুনা ব্যাংকের কুমিল্লা শাখায় রুমানার নামে একটি এবং ইসলামি ব্যাংক কুমিল্লা শাখায় তার আরও চারটি হিসাব রয়েছে। মশিউরের নামে ডাচ-বাংলা লিমিটেডে দুটি, রুমি ও রুমানার নামে পৃথক দুটি হিসাব রয়েছে। এছাড়া ব্রাক ব্যাংক লিমিটেডের পটিয়া শাখায় মশিউরের নামে দুটি হিসাব রয়েছে।

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাজিদ উর রোমান তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন, নিজ নামে, তার স্ত্রী রুমি আখতার ও শ্যালিকা রুমানা আখতারের ব্যাংক হিসাবে অতি অল্প সময়ের মধ্যে তার পেশা ও আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ চার কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনদেন করেছেন। তারা ৫৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয়পূর্বক এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন করে মানিলন্ডারিং করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।

একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২(শ)(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।